সদরঘাট পৌঁছাতেই নাকাল যাত্রীরা

নদীপথে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে নগরবাসী।
নদীপথে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে নগরবাসী।

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষেরা নদীপথে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। তবে যানজট ঠেলে সদরঘাট টার্মিনালে পৌঁছাতেই নাকাল যাত্রীরা।

ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে বিশেষ লঞ্চ সেবা শুরু হয়েছে। অনেকে ঈদের আগে গতকালই শেষ অফিস করেছেন। বিকেল থেকে সদরঘাটে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে যানজট। পুরান ঢাকার ইংলিশ রোড থেকে রায়সাহেব বাজার মোড় হয়ে টার্মিনাল পর্যন্ত ছিল যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ।

দক্ষিণাঞ্চলের ৪৩টি রুটে গতকাল নিয়মিত ৭৮টি যাত্রীবাহী লঞ্চ ছাড়াও আরও তিনটি বিশেষ যাত্রীবাহী লঞ্চ ছেড়ে গেছে। ভান্ডারিয়ার উদ্দেশে এমভি ঈগল-৮, হুলারহাটের উদ্দেশে যুবরাজ-৭ এবং বরিশাল যাওয়ার উদ্দেশে এমভি মানামী ঢাকা নদীবন্দর ছেড়ে গেছে।

বরগুনার আমতলীগামী যাত্রী ফিরোজ তালুকদার বলেন, ঈদের সময় লঞ্চযাত্রীদের বিড়ম্বনার শেষ নেই। সদরঘাট টার্মিনালে যাওয়ার সময় যানজটের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পটুয়াখালীগামী লঞ্চের যাত্রী মিলন হাওলাদার জানান, গুলিস্তান থেকে রিকশায় চড়ে পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক পর্যন্ত আসতে প্রায় দুই ঘণ্টা লেগেছে। ওয়াইজঘাট এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার কনটেইনার রাস্তার ওপর থাকায় যানজট আরও তীব্র হয়েছে। তিনি বলেন, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় টার্মিনাল এলাকায় ঈদ মৌসুমে যাত্রীদের ভিড় বেশি থাকে। অন্তত এই সময়গুলোতে প্রশাসনের উচিত যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে সড়কে যানবাহনের স্বাভাবিক চলাচলের পরিবেশ নিশ্চিত করা। আগে থেকেই ময়লার কনটেইনার সরানো উচিত ছিল। কিন্তু এটা না সরানোর কারণে বাড়তি ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।

অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ঢাকা নদীবন্দরের উপপরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ময়লার কনটেইনার অন্যত্র সরাতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে আগে থেকেই বলা হয়েছে। কিন্তু এখনো তারা তা সরায়নি। তিনি আরও জানান, টার্মিনাল এলাকায় ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সড়ক পথে যানজট নিরসনের জন্যে পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।