ছাত্রলীগ নেতাকে লাঞ্ছিত করায় ৪ পুলিশ প্রত্যাহার

দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় ছাত্রলীগের নেতাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে বিরল থানার পুলিশের উপপরিদর্শকসহ (এসআই) চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ প্রত্যাহার আদেশ জারি করা হয়।

চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুশান্ত সরকার। এই চারজন হলেন বিরল থানার এসআই মো. নজরুল ইসলাম এবং কনস্টেবল বাবুল হক, সাগর আহম্মেদ ও মিজানুর রহমান।

পুলিশ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেল পাঁচটার সময় থানা-গেটের সামনে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করছিল পুলিশ। এ সময় বিরল থানা ছাত্রলীগের সভাপতি সারোয়ার হোসেন রাসেলের (৩০) মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন এসআই নজরুল ইসলাম। এসআই তাঁর কাছে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে চান। রাসেল নিজেকে ছাত্রলীগের সভাপতি দাবি করেন। দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এ সময় এসআই নজরুল ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেলকে লাঞ্ছিত করেন। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী একত্র হয়ে থানা-গেটের সামনে অবস্থান নেন এবং পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁরা পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার দাবি করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ার হোসেন রাসেল প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুলিশ কাগজপত্র চাইলে আমি নিজের পরিচয় দিই এবং বলি আমার গাড়ির কাগজপত্র সবই আছে। কিন্তু বাড়ি কাছে হওয়ায় কাগজপত্র সঙ্গে রাখিনি। এই কথা শোনার পরে তাঁরা আমার গাড়ির চাবি নিয়ে নিলে আমি প্রতিবাদ করি এবং বলি আপনারা গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চেয়েছেন আমি এনে দিচ্ছি। কিন্তু গাড়ির চাবি নিচ্ছেন কেন? এই কথা শোনার পর তাঁরা আমাকে এবং ছাত্রলীগকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে আমার গায়ে হাত তোলেন।’

এ বিষয়ে দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুশান্ত সরকার বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মোটরসাইকেলের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাগজপত্র সঠিক না পেলে মামলা দেবেন, জরিমানা করবেন; এটাই নিয়ম। কিন্তু কারও গায়ে হাত তুলতে পারেন না।’ পরে অভিযুক্ত পুলিশের একজন এসআই এবং তিন পুলিশ সদস্যকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করে দিনাজপুর পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।