রাজশাহীতে ইজিবাইকে কুড়িয়ে পাওয়া সোয়া দুই লাখ টাকা পুলিশে দিলেন চালক-যাত্রী

টাকাগুলো গুনে দেখছেন পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। পাশে বসা ইজিবাইকের যাত্রী আবদুল জব্বার। রাজশাহী, ৩ জুন। ছবি: প্রথম আলো
টাকাগুলো গুনে দেখছেন পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। পাশে বসা ইজিবাইকের যাত্রী আবদুল জব্বার। রাজশাহী, ৩ জুন। ছবি: প্রথম আলো

বরফ কলের কর্মচারী ইজিবাইকে উঠে দেখেন পাদানির কাছে একটি শপিং ব্যাগ পড়ে আছে। তিনি ইজিবাইক চালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। চালক বলেন, ব্যাগটি তিনি আগের যাত্রীর হাতে দেখেছিলেন। যাত্রী ব্যাগ খুলে দেখেন ব্যাগ ভর্তি টাকা। এবার তারা দুজনে এই টাকা নিয়ে পুলিশের কাছে যান। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহী নগরের সাহেব বাজার স্যান্ডেল পট্টি এলাকায়।

ইজিবাইকের চালকের নাম শফিজ উদ্দিন (৬০) আর যাত্রী বরফ কলের কর্মচারীর নাম আবদুল জব্বার (৪০)। শফিজ উদ্দিনের বাড়ি নগরের মির্জাপুর এলাকায়। তিনি রাজশাহী নগরে নিজের ইজিবাইক চালান। আবদুল জব্বার নগরের বিসিক এলাকায় একটি বরফ কলের হিসাব শাখার কর্মচারী। তাঁর বাড়ি গোদাগাড়ীর সারেংপুর এলাকায়।

ইজিবাইক চালক শফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, বেলা সোয়া একটার দিকে এক যাত্রী ফোনে কথা বলতে বলতে নগরের সাহেব বাজার স্যান্ডেল পট্টি এলাকায় তাঁর গাড়ি থেকে নামেন। গাড়িতে থাকাকালীন তাঁর হাতে দুইটা ব্যাগ ছিল। মূলত গাড়ি থেকে নামার আগ মুহূর্তে ওই ব্যক্তির ফোনটি আসে। তিনি নেমে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর আবদুল জব্বার তাঁর ইজিবাইকে ওঠেন এবং ব্যাগটি দেখতে পান। পরে তাঁরা দুজন টাকার বিষয়টি নিশ্চিত হতে পেরে বাজারে কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট হাফিজুর রহমানকে জানান। ওই সার্জেন্টের কাছ থেকে খবর পেয়ে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কোরাইসী ঘটনাস্থলে আসেন।

ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) কোরাইসী জানান, তারা বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক টাকার ব্যাগটি সরকারি নিয়মানুযায়ী জব্দ করা হয়। এরপর ওই দুজনকে (ইজিবাইক চালক ও যাত্রী) সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলের আশপাশে প্রায় ঘণ্টা খানেক টাকার মালিককে খোঁজাখুঁজি করা হয়। কিন্তু টাকার প্রকৃত মালিককে না পেয়ে নগরের সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে একটি দোকানে ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা, সার্জেন্ট, বোয়ালিয়া থানার পুলিশ সদস্য, ওই দুই ব্যক্তিসহ সাধারণ মানুষের সামনে টাকাগুলো গণনা করা হয়। এতে এক হাজার, পাঁচ শ ও এক শ টাকার বান্ডিল পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা পাওয়া যায়। তিনি বলেন, উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ পেলে প্রকৃত টাকার মালিককে টাকাগুলো ফেরত দেওয়া হবে।’