যাত্রীসেবা শতভাগ দিতে না পারলেও আমরা সন্তুষ্ট: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘ঈদে নৌপরিবহন সেক্টরে যাত্রীসেবা শতভাগ সঠিকভাবে দিতে না পারলেও আমরা সন্তুষ্ট। আরও বেশি যাত্রীসেবা নিশ্চিতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’

আজ রোববার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদপরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় এসব কথা বলেন খালিদ মাহমুদ। তিনি বলেন, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএতে একসঙ্গে ছুটি দেওয়ায় সড়ক, নৌ ও রেলপথে বাড়তি চাপ পড়েছে। ভবিষ্যতে এসব বিষয় সমাধানে চেষ্টা করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এককভাবে নয়, সমষ্টিগতভাবে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে চাই। সদরঘাটে যাত্রীসেবা আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে এর স্পেস বৃদ্ধিসহ জেটি, গ্যাংওয়ে ও পন্টুনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। পর্যায়ক্রমে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, আরিচা-নগরবাড়ী, ভোলা-লক্ষ্মীপুর এবং চাঁদপুর লঞ্চঘাটের আকার বৃদ্ধি করা হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যাত্রীসেবা নিশ্চিতে আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নৌপরিবহন সেক্টরে যাত্রীসেবা আরও উন্নত ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তোলা হবে।’

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নদীতীর দখল ও দূষণরোধে উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা নদীপথ খননে অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পেরেছি, দুর্ঘটনামুক্ত এই ঈদ করতে পেরেছি।’ এ জন্য তিনি মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আন্তরিকভাবে কাজ করলে জনগণকে আরও বেশি সেবা দিতে পারব।’

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এবারের ঈদে সড়ক, রেল ও নৌপথে মানুষ স্বস্তিদায়কভাবে বাড়ি যেতে পেরেছে। প্রধানমন্ত্রী সরকারি সফরে বিদেশে থেকেও বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে প্রধানমন্ত্রী দেশে মন্ত্রী, সচিব এবং তাঁর দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ উপস্থিত ছিলেন।