পোড়া যন্ত্রণা নিয়েই চলে গেলেন রাজন

আবদুর রহিম ওরফে রাজন। ছবি: সংগৃহীত
আবদুর রহিম ওরফে রাজন। ছবি: সংগৃহীত

২২ দিন পোড়া যন্ত্রণা ভোগ করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর আবদুর রহিম ওরফে রাজন (২৬)। সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তাঁর মৃত্যু হয়। রাজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল। তিনি বলেন, আগুনে রাজনের শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে যায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় দুই দিন আগে আইসিইউতে নেওয়া হয়। পোড়া অংশ থেকে সারা শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

রাজনের বাড়ি কটিয়াদীর পূর্বপাড়ায়। রাজনের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিনি তাবলিগ জামাতের কিশোরগঞ্জ জেলা মার্কাসের তশকিল কামরার (সদস্যদের বাইরে পাঠানো ও হিসাব রাখা দায়িত্বে থাকা) সক্রিয় সদস্য ছিলেন।

রাজনের মামা মামুনুর রশিদের অভিযোগ, গত ১৯ মে কটিয়াদীর কলামহল জামে মসজিদে তাবলিগ জামাতের একটি দলের অবস্থান করা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে রাতে রাজনের গায়ে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। মামুনুর রশিদ বলেন, রাত এগারোটার দিকে রাজন মসজিদে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হলে পথে কয়েকজন তাঁর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় রাজন প্রথমে মাটিতে গড়াগড়ি করেন ও পরে একটি নর্দমায় ঝাঁপ দেন। রাতেই তাঁকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার একদিন পর কটিয়াদী থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা চেষ্টার মামলা করেন মামুনুর রশিদ। পরে পুলিশ মাহমুদুল ও সোহেলকে গ্রেপ্তার করে জেলা কারাগারে পাঠায়। মামুনুর রশিদের অভিযোগ, অন্য অভিযুক্তরা সমাজে স্বাভাবিক ভাবেই চলাফেরা করলেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে সফল হইনি। আদালত জেলগেটে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ দেন। ফলে অনেক তথ্যই উদ্ঘাটন করা যায়নি।