বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ৪ এনজিও কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নড়াইলে গ্রাহকের জমা করা সাড়ে ৩১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চার এনজিও কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে সিআইডির উপপুলিশ পরিদর্শক অলক চন্দ্র হালদার এনজিওর ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ‘চলন্তিকা যুব সোসাইটি’ নামের এনজিওর মিজানুর রহমান (৪৩), সজল দাস (২৮), প্রণব দাস (৩২) ও মিলন দাস (৫০)। গতকাল দুপুরে খুলনা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

কালিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, ‘চলন্তিকা যুব সোসাইটি’ নামের এই এনজিওর মূল শাখা খুলনার সোনাডাঙ্গায়। ২০০৪ সালে খুলনার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে ৯টি কার্যালয় খোলে তারা। এনজিওটি কয়েকগুণ মুনাফার লোভ দেখিয়ে ডিপিএস ও এফডিআরের নামে কয়েক হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে আমানত গ্রহণ করে। কিন্তু নানা অজুহাতে লভ্যাংশ প্রদানে গড়িমসি করতে থাকে সংস্থাটি। গ্রাহকেরা আমানত ফেরত চাইলে সেটিও ফেরত না দিয়ে ২০১৮ সালের মার্চ মাসে কালিয়া কার্যালয় বন্ধ করে কর্মকর্তারা উধাও হয়ে যান। এরপর একে একে অন্য শাখাগুলোও বন্ধ করে গ্রাহকদের ৩১ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার ৭৪০ টাকা আমানত নিয়ে পালিয়ে যান কর্মকর্তারা।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রতারণার উদ্দেশ্যে এই এনজিও খুলে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এনজিওটির চেয়ারম্যান মো. খবিরুজ্জামান ও নির্বাহী পরিচালক মো. সারোয়ার হুসাইনের নামে বিভিন্ন জেলায় ৪০টি মামলার তদন্ত চলছে। মামলায় এই দুজনসহ প্রধান কার্যালয়ের ১১ জন ও শাখা কার্যালয়ের চারজন কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।

সিআইডির উপপুলিশ পরিদর্শক অলক চন্দ্র হালদার প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৮ সালের মার্চ মাসে প্রধান কার্যালয়সহ সব শাখা বন্ধ করে কর্মকর্তারা উধাও হন। এনজিওটির সব কার্যক্রম তখন থেকে বন্ধ রয়েছে। তবে দেশের অন্যান্য জেলায় এর আরও শাখা ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে টাকা আত্মসাতের প্রকৃত পরিমাণ জানা যাবে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে আজ মঙ্গলবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।