জেলে সেজে আসামি পাকড়াও

পরনে লুঙ্গি কাঁধে গামছা। হাতে জাল সঙ্গে মাছ রাখার পাত্র। এসব দেখে বোঝার উপায় নেই তাঁরা পুলিশ কর্মকর্তা। পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার করতেই এমন বেশ ধারণ করেছিলেন সিলেটের জৈন্তাপুর থানার তিন পুলিশ কর্মকর্তা। সফলও হয়েছেন তাঁরা।

গতকাল বেলা দুইটার দিকে উপজেলার দরবস্তের ভাইটগ্রাম হাওর থেকে দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছেন জৈন্তাপুর থানার তিন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)। অভিনব কায়দায় আসামি ধরায় তিন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশংসা কুড়াচ্ছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জৈন্তাপুরের দরবস্ত ইউনিয়নের ভাইটগ্রামের বাসিন্দা বিলাল উদ্দিন পৃথক দুটি মামলায় দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। একটি মামলায় ৪ লাখ টাকা জরিমানারও রায় দিয়েছেন আদালত। দুই মামলায় সাজা হওয়া বিলাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করতে পরোয়ানা জারি হয়। তবে জৈন্তাপুর থানা-পুলিশ বিলালকে গ্রেপ্তার করতে একাধিকবার তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়েও ব্যর্থ হয়।

গোপন সূত্রের ভিত্তিতে গতকাল পুলিশের কাছে খবর আসে বিলাল উদ্দিন ভাইটগ্রাম হাওরে মাছ শিকার করছেন। এরপর এএসআই প্রদীপ রায়, রায়হান কবীর, মনিরুল ইসলাম ছদ্মবেশ ধারণ করে অভিযানে যান। হাওরে মাছ ধরার ভান করে তাঁরা বিলালের কাছে যান। একপর্যায়ে তাঁকে ঝাপটে ধরে থানায় নিয়ে আসা হয়।

জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. মাইনুল জাকির বলেন, অভিনব এমন অভিযানে আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি অনেকেই প্রশংসা করছেন। কয়েকজন ফোন করেও অভিনন্দন জানিয়েছেন।