৮২ শতাংশ গ্রামীণ সড়কই কাঁচা

এলজিইডি
এলজিইডি

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে থাকা প্রায় ২ লাখ ৭৪ হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ সড়কের মাত্র ১৮ শতাংশ পাকা। বাকি ৮২ শতাংশই মাটির তৈরি। প্রতিবছর নতুন প্রায় পাঁচ হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক এলজিইডির তথ্যভান্ডারে যুক্ত হচ্ছে। প্রতিবছর সড়কের পরিমাণ বাড়লেও তা রক্ষণাবেক্ষণে বরাদ্দ বাড়ছে না।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এলজিইডি ভবনের কনফারেন্স কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য উঠে আসে। এলজিইডির উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে সংস্থাটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের নতুন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। এতে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় এলজিইডির বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তুলে ধরেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম আকন্দ। তাতে বলা হয়, এলজিইডির অধীনে থাকা উপজেলা সড়কের প্রায় ৯১ শতাংশ পাকা। ৩ লাখ ৫৩ হাজার কিলোমিটার উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামীণ সড়কের ৩২ শতাংশ পাকা। বাকি সড়কগুলো এখনো কাঁচা। চলতি অর্থবছরে এলজিইডিতে ১৫২টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। প্রকল্পের সংখ্যা বাড়লেও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ সেভাবে বাড়েনি। বরাদ্দ না বাড়লে প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি কমে যাবে।
সভায় জানানো হয়, এলজিইডি ইতিমধ্যে ২৩৮টি পৌরসভার মহাপরিকল্পনা করেছে। আরও ১৬টি পৌরসভার মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শেষ পর্যায়ে। কিন্তু গেজেট না হওয়ায় এসব মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এর মধ্যে মাত্র পাঁচটি মহাপরিকল্পনার গেজেট হয়েছে। দ্রুত অন্যান্য পৌরসভার মহাপরিকল্পনার গেজেট করে বাস্তবায়ন শুরু করতে তাগিদ দেওয়া হয়।
স্থানীয় পর্যায়ে কাজের ক্ষেত্রে সরকারের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করার পরামর্শ দিয়ে স্থানীয় সরকার সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, জেলা পরিষদের সংস্কার করা সড়ক এলজিইডির প্রকল্পেও নেওয়া হয়েছে। এ সুযোগে ঠিকাদার কাজ না করেও টাকা তুলে নিয়েছেন। প্রকল্পের বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে বাংলাদেশের আবহাওয়া, মাটির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এশিয়ার দেশকে প্রাধান্য দিতে অনুরোধ করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী খলিলুর রহমান বলেন, মাঠপর্যায়ে জনবল সংকটের কারণে কাজ দেখভাল করতে সমস্যা হচ্ছে। একই প্রকৌশলী একাধিক উপজেলার দায়িত্বে থাকায় ঠিকাদারদের অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। আগের বছরগুলোর মতো এবারও এলজিইডির এডিপি বাস্তবায়ন প্রায় ৯৯ শতাংশ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।