বিমানে করে পেটের ভেতর ইয়াবা দুই মাদক ব্যবসায়ী রিমান্ডে

ইয়াবা বড়ি। ফাইল ছবি
ইয়াবা বড়ি। ফাইল ছবি

পেটের ভেতর ইয়াবা আনা দুই মাদক ব্যবসায়ীকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত গতকাল শুক্রবার এই আদেশ দেন।

দুই আসামি হলেন, কক্সবাজারের দক্ষিণ পাহাড়তলীর নজরুল ইসলাম (৪৬) এবং চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার লক্ষিরখিল গ্রামের মোহাম্মদ জুবাইর (২৪)।
আসামি নজরুল এবং জুবাইর এখন বিমানবন্দর থানা হেফাজতে আছেন।

গত ১৩ জুন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাবলিক টয়লেটের সামনে নয় হাজার ৪৯০ পিচ ইয়াবাসহ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় উত্তরা-৮ এপিবিএনের উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল মালেক বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।

বিমানবন্দর থানা-পুলিশ ঢাকার আদালতকে এক প্রতিবেদন দিয়ে গতকাল জানিয়েছে, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় আসামি নজরুল ও জুবাইরকে আটক করা হয়। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা স্বীকার করেন, তাঁদের পেটের ভেতর ইয়াবা ট্যাবলেট আছে। পরে তাঁদের উত্তরার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। এক্স-রে করে দেখা যায়, আসামিদের পেটের ভেতর ইয়াবা ট্যাবলেট আছে। পরে তা বের করা হয়।

পলাতক মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারের জন্য গ্রেপ্তার নজরুল ও জুবাইরকে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে বিমানবন্দর থানা-পুলিশ। আদালত উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে প্রত্যেক আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার বাদী এস আই সাইফুল মালেক আজ শনিবার টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, দুই আসামি বিমানে করে কক্সবাজার থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন।
মামলার এজাহারে পুলিশ কর্মকর্তা সাইফুল মালেক বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় আসামিরা জানান, এই ইয়াবা ট্যাবলেট কক্সবাজারের টেকনাফের লেদা গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী হাফিজ আহম্মেদের কাছ থেকে নিয়ে আসেন। এই ট্যাবলেট দেওয়ার কথা ছিল মাদক ব্যবসায়ী আবদুল মান্নানের কাছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কবির হোসেন শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, দুই মাদক ব্যবসায়ী নজরুল এবং জুবাইরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে নজরুল জানিয়েছেন, এর আগেও তিনি কক্সবাজার থেকে বাসে করে ঢাকায় ইয়াবা এনেছেন। আর জুবায়েরের নামে একটি অস্ত্র মামলা আছে। নজরুল বাংলাদেশি হলেও জুবায়ের রোহিঙ্গা। তাঁর পরিবারের লোকজন কক্সবাজারের ক্যাম্পে আছে। দুজনই পেশদার মাদক ব্যবসায়ী।