আবারও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের অবস্থান

বয়সসীমা না রেখে ধারাবাহিক কমিটির দাবিতে আবারও বিক্ষোভ করেছে ছাত্রদল। ছবি: সাইফুল ইসলাম
বয়সসীমা না রেখে ধারাবাহিক কমিটির দাবিতে আবারও বিক্ষোভ করেছে ছাত্রদল। ছবি: সাইফুল ইসলাম

বয়সসীমা না রেখে ধারাবাহিক কমিটির দাবিতে আবারও বিক্ষোভ করেছে ছাত্রদলের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

আজ রোববার প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। এ সময় তারা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন।

বয়সসীমা না রেখে ধারাবাহিক কমিটির দাবিতে গত মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় সদ্য বিলুপ্ত ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। পরে তারা কার্যালয়ের নিচে অবস্থান নেয়। বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে কার্যালয় ছেড়ে যাওয়ার দাবি তোলেন। পরে ওই দিন রাতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবির স্বপক্ষে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের আশ্বাস পেলে রাতে কার্যালয়ের তালা খুলে দেয়।

আজকের অবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে ছাত্রদলের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আজকের মতো আমাদের কর্মসূচি শেষ করছি। আগামীকাল আবার শান্তিপূর্ণ অবস্থা নেব। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। তিনি বলেন, ঈদের আগে আমাদের কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ধারাবাহিকতা রেখে কমিটি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এজমল হোসেন পাইলট বলেন, প্রথমে সার্চ কমিটি ও পরে জ্যেষ্ঠ নেতাদের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে এবং তাঁদের সম্মানে আন্দোলনের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছিল। কিন্তু দাবি পূরণে এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি নেই। তাই শান্তিপূর্ণভাবে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আবারও অবস্থান কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের দাবি নতুন কমিটি দিতে হবে। বয়সের সীমারেখা তুলে নিতে হবে। ২০০০ সালের আগে যাদের এসএসসি তাদেরসহ একটি স্বল্পকালীন কমিটি দিতে হবে।

৩ জুন রাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। এতে আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের কথা বলা হয়। নতুন কমিটিতে নেতা হওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ২০০০ সাল থেকে পরবর্তী যেকোনো বছরে এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে বলে জানানো হয়। সর্বশেষ ২০১৪ সালের অক্টোবরে রাজীব আহসানকে সভাপতি ও আকরামুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই বছরের জন্য ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি করা হয়। ২০১৬ সালের অক্টোবরে এই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। এরপরও প্রায় আড়াই বছর এই কমিটি বহাল ছিল।