বাউফলে সালিস চলাকালে হামলা-ভাঙচুর

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নে সালিস চলাকালে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

সালিসে উপস্থিত কয়েক ব্যক্তি জানান, কনকদিয়া ইউনিয়নের চুনারপুল গ্রামের মো. হারুন হাওলাদারের সঙ্গে তাঁর চাচাতো ভাই মো. ফিরোজ হাওলাদারের দীর্ঘদিন ধরে জমি-সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সালিস বসে। সালিসে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহিন হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, ইউপি সদস্য মিলন মাতব্বরসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

সালিসের একপর্যায়ে মো. ইউনুচ জোমাদ্দার নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে কনকদিয়া ইউনিয়নের নারী সদস্য মোসা. কুলসুম বেগম ও তাঁর স্বামী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হলে ইউপি চেয়ারম্যান দুই পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করেন। ওই সময় ফিরোজ হাওলাদার ও তাঁর লোকজন সালিসে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান ও কার্যালয় ভাঙচুর করেন। এতে ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. খসরুল আলম, গ্রাম পুলিশের সদস্য মো. নুরুল আমিন, দেলোয়ার হোসেন, মো. রাসেল, ইমরানসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

হামলার ঘটনা অস্বীকার করেছেন ফিরোজ হাওলাদার ও নারী ইউপি সদস্য কুলসুম বেগম। কুলসুমের দাবি, তিনি এবং তাঁর স্বামী কারও সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেননি।

ফিরোজ হাওলাদার বলেন, হামলার সঙ্গে তিনি এবং তাঁর লোকজন জড়িত নন। সালিস পণ্ড করার জন্য প্রতিপক্ষের লোকজন ওই হামলা চালিয়েছে।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।