নোয়াখালীতে জলদস্যু বাহিনীর প্রধান গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় জলদস্যু ফরিদ বাহিনীর প্রধান মো. ফরিদ ওরফে ফরিদ কমান্ডারকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড। এ সময় কয়েকটি তিনটি বন্দুক, একটি রিভলবার, একটি পাইপগান, তিনটি কার্তুজ, একটি চাপাতি, একটি ছোরা এবং অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

আজ মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার বয়ারচরের সোলেমান বাজারের কাছে নিজ বাড়িতে বসে ডাকাতির জন্য গোপন বৈঠক করার সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় ফরিদের সহযোগীরা পালিয়ে যান। ফরিদের বিরুদ্ধে নোয়াখালীর হাতিয়া, লক্ষ্মীপুরের রামগতিসহ বিভিন্ন থানায় কমপক্ষে ২২টি মামলা রয়েছে বলে জানায় কোস্টগার্ড। এ ছাড়া স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার ফরিদ লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য।

কোস্টগার্ডের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা লে কমান্ডার এম হামিদুল ইসলাম আজ সকাল সাড়ে আটটায় নোয়াখালী সার্কিট হাউসের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোস্টগার্ডের হাতিয়া স্টেশনের কমান্ডার লে মাহমুদ সাব্বিরসহ অভিযানে অংশ নেওয়া কোস্টগার্ডের অন্য সদস্যরা।

কোস্টগার্ডের কর্মকর্তা লে হামিদুল ইসলাম বলেন, নোয়াখালী উপকূলের জেলেদের আতঙ্ক ছিলেন জলদস্যু ফরিদ বাহিনীর প্রধান মো. ফরিদ ওরফে ফরিদ কমান্ডার। দীর্ঘদিন ধরে হাতিয়ার মেঘনা ও বঙ্গোপসাগরের মাছ ধরা নৌকায় ডাকাতি ও জেলেদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করতেন তিনি। গত ইলিশ মৌসুমে এই জলদস্যু বাহিনীর বিরুদ্ধে কমপক্ষে ১০০ জন জেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এ বছরও ইলিশ মৌসুম শুরুতে ফরিদ বাহিনীর বিরুদ্ধে নদীতে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়সহ নানা অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

লে হামিদুল ইসলাম বলেন, গোয়েন্দা সূত্রে এসব তথ্য পাওয়ার পর কোস্টগার্ডের হাতিয়া স্টেশনের কর্মকর্তা ও সদস্যদের সহায়তা নিয়ে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকে মেঘনায় অভিযান শুরু করা হয়। আজ ভোর সাড়ে চারটার দিকে ফরিদের অবস্থান নিশ্চিত হয় কোস্টগার্ড। পরে বয়ারচরের সোলেমান বাজারের পাশে তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কোস্টগার্ড কর্মকর্তারা জানান, অভিযানের সময় বাড়িতে বসে ডাকাতি করার জন্য বৈঠক করছিলেন তাঁরা। কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ফরিদের বেশ কয়েকজন সহযোগী দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় হাতিয়া থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।