প্রেমের টানে জার্মান নারী খুলনায়

প্রেমের টানে জার্মান নাগরিক ক্রিস্টিয়াল স্বামী-সংসার ফেলে এখন খুলনায়। তিনি নগরের খানজাহান আলী এলাকার যুবক আসাদ মোড়লের প্রেমে মুগ্ধ হয়ে এ দেশে এসেছেন। ছবি: সংগৃহীত
প্রেমের টানে জার্মান নাগরিক ক্রিস্টিয়াল স্বামী-সংসার ফেলে এখন খুলনায়। তিনি নগরের খানজাহান আলী এলাকার যুবক আসাদ মোড়লের প্রেমে মুগ্ধ হয়ে এ দেশে এসেছেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রেমের টানে জার্মানি থেকে ছুটে এসেছেন খুলনায়। ছেড়ে এসেছেন স্বামী-সংসার। ধর্ম ত্যাগ করে বিয়ে করেছেন মনের মানুষকে। ওই নারীর নাম অ্যাসটিট ক্রিস্টিয়াল কাসুমী সিউর। যার জন্য তিনি সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে খুলনায় এসেছেন, তিনি হলেন খুলনা নগরের খানজাহান আলী এলাকার যুবক আসাদ মোড়ল।

আসাদের পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশে আসার আগে ক্রিস্টিয়াল তাঁর জার্মান স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন। খুলনায় এসেই তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে আসাদ মোড়লকে বিয়ে করেছেন। ১০ জুন জার্মানি থেকে বাংলাদেশে আসেন তিনি। বেশ কিছুদিন নগরের একটি হোটেলে থাকার পর এখন খুলনার বাড়িতেই বসবাস করছেন তাঁরা।

আসাদের সঙ্গে জার্মান নাগরিকের বিয়ের খবরে এলাকাবাসীর মধ্যে কৌতূহল ছড়িয়ে পড়ে। আসাদ মোড়লের বাড়িতে জার্মান নারীকে দেখতে ভিড় করছেন গ্রামবাসী। তবে উৎসুক মানুষের চাপ এড়াতে গতকাল বুধবার সকালে খুলনার বাইরে ঘুরতে গেছেন ওই দম্পতি।

আসাদের পরিবার জানায়, আসাদ মোড়ল তেমন পড়াশোনা করেননি। মাঝে মাঝে তিনি শ্রমিকের কাজ করেন। ফেসবুকে তাঁর সঙ্গে জার্মান নারীর পরিচয়। প্রায় দুই বছর ধরে কথা বলতে বলতে প্রেম। ক্রিস্টিয়াল প্রেমের সম্পর্ককে বাস্তবে রূপ দিতে জার্মানি থেকে প্রথমে ঢাকায় আসেন। পরের দিন তিনি ঢাকা থেকে আসাদের খোঁজে খুলনায় আসেন এবং একটি হোটেলে ওঠেন। ওই হোটেলেই দুজনের প্রথমবারের মতো দেখা হয়। ১২ জুন ক্রিস্টিয়াল খুলনা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ১৩ জুন তাদের বিয়ে হয়।

আসাদের বাবা ইব্রাহিম মোড়ল বলেন, ‘কখনো ভাবিনি এক বিদেশিকে বিয়ে করবে ছেলে। ছেলে যদি সুখী হয়, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’

জানতে চাইলে আসাদ মোড়ল বলেন, দুই বছর আগে ফেসবুকে জার্মান নারী ক্রিস্টিয়ালের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এরপর বন্ধুত্ব ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৩ জুন আদালতের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়েছে। ক্রিস্টিয়ালের জীবনসঙ্গী হতে পেরে খুবই খুশি তিনি।

ক্রিস্টিয়াল কাসুমী সিউর বলেন, এখন তাঁরা সুখী। সবাইকে দোয়া করার অনুরোধ জানান তিনি।


আরও পড়তে ক্লিক করুন: