সড়ক বিভাগের শত কোটি টাকার জায়গা উদ্ধার

অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৬৫টি দোকান ও স্থাপনা উচ্ছেদ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। উদ্ধার হওয়া জায়গার মূল্য প্রায় শত কোটি টাকা। সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম, ২০ জুন। ছবি: প্রথম আলো
অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৬৫টি দোকান ও স্থাপনা উচ্ছেদ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। উদ্ধার হওয়া জায়গার মূল্য প্রায় শত কোটি টাকা। সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম, ২০ জুন। ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়ার বিওসির মোড় ও চন্দনাইশের দোহাজারী এলাকায় সড়ক বিভাগের জায়গা থেকে দেড় শতাধিক দোকান ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ এ উচ্ছেদ অভিযান চালায়।

সওজের দোহাজারী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদ হোসেন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অভিযানে প্রায় সাড়ে তিন একর জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। সওজের মতে উদ্ধার হওয়া জমির মূল্য প্রায় শত কোটি টাকা। স্থানীয় কিছু বাসিন্দা ও দোকানি জায়গাটি ৪০ থেকে ৪৫ বছর ধরে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিলেন।

সওজ সূত্রে জানা যায়, উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সওজের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) মনোয়ারা বেগম। এ সময় সওজের দোহাজারী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদ হোসেন, সড়ক উপবিভাগ দোহাজারী কার্যালয়ের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী তাহসিনা বিনতে ইসলাম, দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান প্রমুখ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সওজ সূত্র জানায়, সাঙ্গু নদীর দোহাজারী সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। সেতুটি ভেঙে নতুন করে প্রশস্ত একটি সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। নতুন সেতু নির্মাণের জন্য দুই পাশ দখলমুক্ত করতেই এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।

সওজ প্রকৌশলী জাহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, জায়গাটি স্থানীয় কিছু লোক দখল করে ব্যবসা করছিলেন। অনেকবার তাঁদের সরে যাওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। বেশ কয়েকবার মাইকিংও করা হয়। এরপরও তাঁরা সরে না যাওয়ায় অভিযান চালানোর প্রয়োজন পড়েছে। অভিযানে ১৬৫টি দোকান ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এতে সওজের শত কোটি টাকার জমি দখলমুক্ত হলো।