দুই মাসে বোরো সংগ্রহ লক্ষ্যের ১২ ভাগ

ধান
ধান

গত দুই মাসে বোরো মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার ১২ শতাংশ বোরো ধান সংগ্রহ করেছে সরকার। একই সময়ে সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার ৪২ শতাংশ।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সাংসদ আহসানুল হকের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া যায়। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

খাদ্যমন্ত্রী জানান, বোরো মৌসুমে সরকার প্রথমে দেড় লাখ টন ও পরে আরো আড়াই লাখ মেট্রিক টন ধান এবং ১০ লাখ টন সিদ্ধ চাল এবং এক লাখ ৫০ হাজার টন আতপ চাল সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত ২৫ এপ্রিল থেকে সংগ্রহ শুরু হয়। ১৬ জুন পর্যন্ত ৪৬ হাজার ২৬৩ টন ধান (লক্ষ্যমাত্রার ১১.৫৭%), চার লাখ ২৩ হাজার ৫৩২ টন সিদ্ধ চাল এবং ৩৬ হাজার ৩০৬ টন আতপ চাল ও ২৩ হাজার ৬১২ টন গম সংগ্রহ করা হয়েছে। মন্ত্রী জানান, কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি চাল সংগ্রহের কোন পরিকল্পনা সরকারের নেই।

আরেক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী জানান, ১০ টাকা দিয়ে কৃষকের খোলা ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে ধানের দাম সঙ্গে সঙ্গে পরিশোধ করা হচ্ছে।
সাংসদ সালমা ইসলামের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্যশস্য সংরক্ষণের জন্য সারাদেশে আরো ১৭০টি খাদ্য গুদাম নির্মাণ করা হচ্ছে।

এ ছাড়া কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় করে সংরক্ষণের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫ হাজার টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আরো ২০০টি ধানের সাইলো নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।

বিদেশে কর্মী প্রেরণ অটোমোশনের আওতায়:

সরকারি দলের সাংসদ নূর মোহম্মদের প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, অভিবাসনে পিছিয়ে পড়া জেলগুলোকে অভিবাসনে উৎসাহিত করতে প্রত্যেক উপজেলা থেকে বছরে গড়ে এক হাজার কর্মী বিদেশে পাঠানোর কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

সাংসদ সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের জবাবে ইমরান আহমদ বলেন, বিদেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে সামগ্রিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আরো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে ডেটাবেজ হালনাগাদসহ অভিবাসন প্রক্রিয়ার আর্থিক লেনদেন ব্যাংকিং চ্যানেলে সম্পন্নের মাধ্যমে ম্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম বিলোপের জন্য অভিবাসনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব কাযর্ক্রম অটোমোশনের আওতায় আনতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি এ বছরের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।