হটলাইনে অভিযোগ, কারা হাসপাতালে দুদকের অভিযান

টাকার বিনিময়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে সুস্থ বন্দীদের কারা হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে এমন অভিযোগে সেখানে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ অভিযান চালায় দুদকের একটি দল।

দুদক সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির হটলাইন ১০৬ নম্বরে কল করে এক ব্যক্তি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ করেন। এর ভিত্তিতে দুদক অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানের নেতৃত্ব দেন দুদক যশোরের উপপরিচালক নাজমুস সাদাত। উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক মোশাররফ হোসেন।

দুদক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদকের দলটি কারাগারে যায়। এ সময় দেখা যায়, কারা হাসপাতালে ২৩ বন্দী ভর্তি আছেন। বন্দীদের ভর্তির জন্য হাসপাতালের রেজিস্টার খাতায় চিকিৎসকের স্বাক্ষরের পরিবর্তে ফার্মাসিস্ট আতাউল হকের স্বাক্ষর আছে। নিয়ম অনুসারে চিকিৎসকের স্বাক্ষর থাকা উচিত। এ কারণে যাঁরা ভর্তি হয়েছেন তাঁরা রোগী কি না, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দুদক যশোরের উপপরিচালক (ডিডি) নাজমুস সাদাত বলেন, রেজিস্টার খাতায় চিকিৎসকের পরিবর্তে ফার্মাসিস্টের স্বাক্ষর থাকায় সন্দেহ দেখা দিয়েছে। যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি তাঁরা প্রকৃত রোগী কি না, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিআইজি (প্রিজন) ছগির মিয়াকে।

অভিযোগের বিষয়টি সত্য নয় দাবি করে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের কারাধ্যক্ষ আবু তালেব বলেন, কারাগারে দুজন চিকিৎসকের পদ থাকলেও পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে পদ দুটি শূন্য আছে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের একজন চিকিৎসক সপ্তাহে দুদিন কারা হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন। চিকিৎসক–সংকটের কারণে রেজিস্টার খাতায় ফার্মাসিস্টের স্বাক্ষর আছে। প্রকৃত রোগীদেরই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।