প্রেমের ফাঁদে ফেলে কিশোরীকে গণধর্ষণ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে কেরানীগঞ্জ থানা-পুলিশ।

পনেরো বছর বয়সী ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করে ঢাকার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন পাঁচ আসামি।

আসামিরা হলেন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা পশ্চিমপাড়ার বাবুল মিয়ার ছেলে রাহাত ওরফে ইছতি (২৫), টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার আট ঘড়ি ভাতগ্রামের মোসলেম মিয়ার ছেলে শাহ আলম (২১), পটুয়াখালীর বাউফলের সোবাহান হাওলাদারের ছেলে সাকিব (২৮), দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যার সাব্বিরের ছেলে সানি (১৯) এবং কেরানীগঞ্জ মডেল টাউনের সেলিমের ছেলে আরিফ (২৩)।
পাঁচ আসামি এখন কারাগারে আছেন।

পুলিশ এবং আদালত সূত্র বলছে, প্রধান আসামি রাহাতকে গতকাল বুধবার ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়। বাকি চারজনকে আজ আদালতে হাজির করে পুলিশ।

গত সোমবার রাতে কেরানীগঞ্জের একটা বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে পাঁচজনকে আসামি করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন কিশোরীর মা। মামলার এজাহারে বলা হয়, রাহাতসহ পাঁচজন তার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে।

তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ আল-আমীন তালুকদার আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে রাহাতসহ পাঁচজন ধর্ষণ করেছে। প্রত্যেকে ধর্ষণ করার কথা আদালতের কাছে স্বীকার করেছেন।

ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী আদালতের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে। পাঁচজন তাকে ধর্ষণ করেছে বলে আদালতকে জানায় সে। তরুণীকে সেদিন কেরানীগঞ্জের ভাড়া বাসায় ডেকে নিয়ে যায় আসামি রাহাত।

রাহাত আদালতকে বলেন, ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাকে সেদিন রাত ১০টায় বাসায় ডেকে নিয়ে যান। সে মুঠোফোনে তাঁর বন্ধু আরিফ, সাকিব, সানি ও শাহ আলমকে ডেকে নিয়ে আসে। এরপর ৫ জনই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।

পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-আমীন তালুকদার বলেন, প্রধান আসামি রাহাত বিবাহিত। নির্দিষ্ট কোন পেশা নেই। অপর আসামিদেরও সুনির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। এরা বখাটে হিসেবেই পরিচিত।