৬০ বছরে ১৬ হাজার কিমি নৌপথ কমেছে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ফাইল ছবি
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ফাইল ছবি

গত ৬০ বছরে ১৬ হাজার ৪০০ কিলোমিটার নৌপথ কমেছে। গত ১০ বছরে ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হয়েছে। আরও ১৭৮টি নদীর ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননকাজ চলছে। শীতলক্ষ্যার ১৯৪ একর তীরভূমি উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ রোববার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

সরকারি দলের সাংসদ এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী জানান, ১৯৬০ সালের আগে দেশের নৌপথের দৈর্ঘ্য ছিল ২৪ হাজার কিলোমিটার। পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অযত্ন, অবহেলা এবং নদীকে অবজ্ঞা, যথাযথ পরিকল্পনা, তদারকের অভাব ও প্রকৃতির পরিবর্তনে নৌপথের দৈর্ঘ্য ছয় হাজার কিলোমিটারে নেমে আসে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১০ বছরে ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার নৌপথ খনন করেছে। এর ফলে বর্তমানে নৌপথ দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৬০০ কিলোমিটারে। সারা দেশের আরও ১৭৮টি নদীর ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের কাজ চলমান।

সরকারি দলের ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদের তীরবর্তী এলাকা থেকে প্রায় ১২ হাজার ৩৯৬টি অবৈধ স্থাপনা এবং ৩৭২ দশমিক ১২ একর তীরভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরভূমি থেকে প্রায় ২ হাজার ৭৭৯টি অবৈধ স্থাপনা ও ১৯৪ একর তীরভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। উচ্ছেদের পর নদীর তীরভূমি পুনর্দখল রোধে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হিসেবে নদীর উভয় তীরে ওয়াকওয়ে, আরসিসি স্টেপস, বসার বেঞ্চ, ইকোপার্ক নির্মাণ, নদীর পাড় বাঁধাই, গাইড ওয়াল নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ ইত্যাদি কার্যক্রম চলমান।

সরকারি দলের সাংসদ নূর মোহাম্মদের প্রশ্নের জবাবে সাংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ জানান, দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।