২ কমিটি প্রতিবেদন জমা দেবে ৩ দিনে

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় কাত হয়ে পড়ে আছে উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি। গতকাল রোববার রাতে সিলেট থেকে ঢাকাগামী এই ট্রেনের কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়। কুলাউড়া, মৌলভীবাজার, ২৪ জুন। ছবি: আনিস মাহমুদ
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় কাত হয়ে পড়ে আছে উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি। গতকাল রোববার রাতে সিলেট থেকে ঢাকাগামী এই ট্রেনের কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়। কুলাউড়া, মৌলভীবাজার, ২৪ জুন। ছবি: আনিস মাহমুদ

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ জানতে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে আঞ্চলিক পর্যায়ের শীর্ষ চার কর্মকর্তাকে নিয়ে। আর বিভাগীয় পর্যায়ের কমিটিতে সদস্য সংখ্যা পাঁচজন। দুটি কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

আজ সোমবার এই দুটি তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানান বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী মো. রফিকুল আলম।

রফিকুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ জানতে আঞ্চলিক শীর্ষ চার সদস্যের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হলেন রেলওয়ের চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (পূর্বাঞ্চল) মো. মিজানুর রহমান। এই কমিটির অন্য তিন সদস্য হলেন প্রধান প্রকৌশলী (পূর্ব) আ. জলিল, চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট (সিওপিএস) সুজিত কুমার এবং চিফ সিগনাল অ্যান্ড টেলিকম অফিসার (পূর্ব) ময়নুল ইসলাম।

বিভাগীয় কর্মকর্তা পর্যায়ের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ডিটিও ( কমলাপুর, ঢাকা) মো. ময়নুল ইসলাম। পাঁচ সদস্যে এই কমিটির সদস্যরা হলেন ডিএমই (পূর্ব,চট্টগ্রাম ) শাহ সুফী নূর মোহাম্মদ, ডিএমও ( কমলাপুর, ঢাকা) আ. আহাদ, ডিএসটিই (কমলাপুর, ঢাকা) আবু হেনা মোস্তফা আলম এবং ডিইএন-২ (ঢাকা) আহসান জাবির।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুটি তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এই দুর্ঘটনায় আজ দুপুর পর্যন্ত চারজনের মৃতদেহ উদ্ধারের তথ্য পাওয়া গেছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে আর্থিক সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এ ছাড়া আহতদের চিকিৎসার জন্য তিনি সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখছেন ।