মুন্সিগঞ্জে কিশোরীকে বিক্রির দায়ে চারজনের কারাদণ্ড

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় এক কিশোরীকে বিক্রির দায়ে একজনের যাবজ্জীবন ও তিনজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় আদালত তাঁদের অর্থদণ্ডও করেন।

মুন্সিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন সোমবার এ দণ্ডাদেশ দেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন ইয়াসমিন আক্তার (২০)। সাত বছর করে দণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন শারমিন আক্তার (১৮), মো. আবুল কালাম (৩৮) ও জাকির হোসেন (৩২)। এঁদের মধ্যে ইয়াসমিনকে ৫ লাখ ও অন্য তিনজনকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে অনুপস্থিতি ছিলেন।

ইয়াসমিন ও শারমিনের বাড়ি সিরাজদিখান উপজেলার কাজীরবাগ এলাকায়। আবুল কালাম ঢাকার ডেমরা ও জাকির হোসেনের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার লক্ষ্মনঘাঁটি এলাকায়।

রাষ্ট্র পক্ষের হয়ে মামলাটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি লাবলু মাল্লা।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৫ মে সিরাজদিখান উপজেলার এক কিশোরীকে ফুসলিয়ে দুই বোন ইয়াসমিন ও শারমিন বাড়ি থেকে নিয়ে যান। এরপর তাঁকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আবুল কালামের ভাড়া বাসায় নিয়ে যান ওই দুই বোন। সেখানে আবুল কালাম ও জাকির হোসেনের কাছে ওই কিশোরীকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। ঘটনার পরদিন ১৬ মে কিশোরীর সিরাজদিখান থানায় মামলা করেন। একই দিন সিদ্ধিরগঞ্জের জাকিরের ভাড়া বাসায় থেকে সিরাজদিখান থানা–পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে তাঁরা জামিনে বের হয়ে পলাতক আছেন।