ময়মনসিংহে ফেরত এল ১১৬ বছরের পুরোনো সিন্দুক

বিক্রির পর ফেরত আনা সিন্দুক। ছবি ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
বিক্রির পর ফেরত আনা সিন্দুক। ছবি ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

ময়মনসিংহ নগরের মৃত্যুঞ্জয় হাইস্কুলের পুরোনো জিনিসপত্রের তালিকায় থাকা পুরোনো দুটি সিন্দুক বিক্রি করে দেওয়া হয়। এ খবর জানাজানি হলে বিদ্যালয়ের সাবেক একাধিক ছাত্র বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লেখেন এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সিন্দুক দুটি ফেরত আনার জন্য অনুরোধ করেন। পরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিক্রীত সিন্দুক দুটি ফেরত এনেছে।
মৃত্যুঞ্জয় হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রুকন উদ্দিন জানান, মৃত্যুঞ্জয় হাইস্কুলের একটি ভবন পরিত্যক্ত। ওই ভবনটি ভেঙে নতুন চারতলা ভবন নির্মাণ করা হবে। পরিত্যক্ত ভবনের ভেতর থাকা সিন্দুক দুটি রাখার জায়গা ছিল না। বিদ্যালয়ের সব শিক্ষকের মতামতের ভিত্তিতে এগুলো বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। এ জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। বিদ্যালয়ের সব নিয়ম মেনে এগুলো বিক্রি করা হয়। সিন্দুক বিক্রির টাকায় বিদ্যালয়ের বেঞ্চ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার সিন্দুক দুটি নগরের গোলপুকুর পাড় এলাকার একটি দোকানে বিক্রি করা হয়।
সিন্দুক দুটি বিক্রির পর অপরিচিত নম্বর থেকে এক ব্যক্তি ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক আজকের বাংলাদেশ–এর বার্তা সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ পালকে ফোন করেন। ওই ব্যক্তি জানান, বিদ্যালয়ে থাকা ১১৬ বছরের পুরোনো সিন্দুক দুটি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। পরে রবীন্দ্রনাথ পাল খুঁজে খুঁজে গোলপুকুর পাড়ের একটি পরিত্যক্ত জিনিসপত্র কেনার দোকানে সিন্দুক দুটি দেখতে পেয়ে ফেসবুকে লেখেন। গতকাল সিন্দুক দুটি আবারও স্কুলে ফিরিয়ে আনা হয়।
রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘সিন্দুক দুটিন বয়স ১১৬ বছর। এর ঐতিহ্যগত মূল্য অনেক বেশি। তাই সিন্দুক দুটি ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলাম।’
প্রধান শিক্ষক রুকন উদ্দিন বলেন, রবীন্দ্রনাথ পাল ও সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস দুজনই মৃত্যুঞ্জয় হাইস্কুলের সাবেক ছাত্র। তাঁদের অনুরোধে সিন্দুক দুটি ফিরিয়ে আনা হয়েছে।