ভবিষ্যতে জাপা জোটের নেতৃত্ব দেবে: জি এম কাদের

জি এম কাদেরের ফাইল ছবি
জি এম কাদেরের ফাইল ছবি

জাতীয় পার্টির (জাপা) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) বলেছেন, ভবিষ্যতে জাপা একটি জোটের নেতৃত্ব দেবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, একটি সম্ভাবনাময় দল হিসেবে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন জোট আগামী দিনে সরকার গঠন করতে পারবে।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর এজিবি কলোনি কমিউনিটি সেন্টারে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সভায় কাদের এ কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন না করলে বাংলাদেশে ভালো ফলাফল করা যাচ্ছে না। প্রতিটি দলই জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করছে। কিন্তু বড় দলগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হলে ছোট দলগুলো অস্তিত্ব সংকটে পড়ে।

কাদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টিকে আরও শক্তিশালী করতে পারলে আমরা আমাদের স্বকীয়তা নিয়ে রাজনীতিতে একটি জোটের নেতৃত্ব দিতে পারব। রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণে জাতীয় পার্টি নিয়ামকশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত আছে। আগামীতে জাতীয় পার্টি সাধারণ মানুষের সমর্থন নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারবে।’

জি এম কাদের সভাপতির বক্তৃতায় আরও বলেন, দীর্ঘ ২৯ বছরে জাতীয় পার্টি ক্ষমতার বাইরে থেকে ঘাত-প্রতিঘাত ও চাড়াই-উতরাই পেরিয়ে, সব প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে।

দল পরিচালনা প্রসঙ্গে কাদের বলেন, দল চলবে গঠনতন্ত্রের নির্দেশনায়। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মতামত, পরামর্শ এবং শক্তিতে জাতীয় পার্টি পরিচালিত হবে।

কাদের বলেন, ‘আমি পারিবারিক পরিচয়ে নেতৃত্ব দিতে চাই না। পার্টির সাধারণ কর্মীদের সমর্থন ও আস্থা নিয়ে জাতীয় পার্টিকে এগিয়ে নিতে চাই। সবাইকে নিয়েই রাজনীতি করতে চাই আমরা। জামিদারি বা কর্তৃত্ব করতে রাজনীতি করি না। তৃণমূলে যারা জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করবে, তারাই সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে রাজনীতি করবে আমাদের সঙ্গে।’

এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘আওয়ামী লীগে পাঁচ ভাগ, বিএনপিতে চার ভাগ কিন্তু জাতীয় পার্টি একভাগ। জাতীয় পার্টিতে কোনো কোন্দল বা দ্বন্দ্ব নেই। কোনো বিভেদ নেই। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্দেশে আমরা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।’

রাঙ্গা বলেন, ১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টির সমর্থন নিয়ে আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করে। এরপর প্রতিটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের পাশে থেকে নির্বাচন করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতা পেয়ে জাতীয় পার্টির সঙ্গে যে আচরণ করেছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। প্রতিটি ইউনিয়ন, উপজেলা নির্বাচনে জাতীয় পার্টির বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে। গতকালের বগুড়ার নির্বাচনে জাতীয় পার্টির জয়ের ধারাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে সরকারি দল।

সকাল থেকেই রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ থেকে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা মতিঝিল এজিবি কলোনি কমিউনিটি সেন্টারে অবস্থান নেন। তাঁরা স্লোগানে স্লোগানে আশপাশের এলাকা মুখর করে তোলেন।

প্রতিটি জেলা, মহানগর, উপজেলা ও পৌর কমিটির নেতারা আজকের সভায় বক্তব্য দেন।

আজ অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর প্রমুখ।