৫০ কোটি টাকা মূল্যের সাপের বিষসহ গ্রেপ্তার ৪
রাজধানীর লালবাগ এলাকা থেকে ৫০ কোটি টাকা মূল্যের সাপের বিষসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ ঘটনায় লালবাগ থানায় মঙ্গলবার দুটি মামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় চার আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন ঢাকার আদালত। আসামিরা হলেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচির জিধুরী সরকারবাড়ী গ্রামের রিয়াদ আরেফীন (২৯), পল্লবী এলাকার আসিফ রহমান (৩৫), নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার কাজীরবাগ গ্রামের মেহেদী হাসান (৩৫) এবং চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানার স্টেশনপাড়ার সুখেন্দু রায় (৫৩)।
আসামিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও অস্ত্র আইনে লালবাগ থানায় মঙ্গলবার পৃথক দুটি মামলা করেন র্যাব-১০–এর জ্যেষ্ঠ ওয়ারেন্ট অফিসার মো. শামীম।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে র্যাব-১০–এর সদস্যরা চকবাজার থানার বকশীবাজার মোড়ে অবস্থান করছিলেন। এ সময় গোপন সংবাদের মাধ্যমে তাঁরা জানতে পারেন, বিদেশ থাকা আনা সাপের বিষ বিক্রির জন্য চোরাকারবারিরা আছেন লালবাগ থানার স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানার সামনে। পরে র্যাব সদস্যরা সেখানে গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে প্রাইভেট কারে করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন চোরাকারবারিরা। এ সময় চারজনকে গ্রেপ্তার করে তাঁদের কাছ থেকে ৫০ কোটি টাকা মূল্যের সাপের বিষ উদ্ধার করা হয়। জারে রাখা কোবরা সাপের বিষ পাওয়া যায়। জব্দ করা হয় অস্ত্র-গুলি।
মামলায় আরও বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করেন, বিদেশ থেকে সাপের বিষ এনে তা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন তাঁরা। পাশাপাশি অস্ত্র ব্যবসাও করেন।
আদালতকে এক প্রতিবেদন দিয়ে জানানো হয়েছে, আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া কোবরা সাপের বিষের বোতলে লেখা আছে, ‘মেড ইন ফ্রান্স।’ আসামিদের কাছ থেকে ছয়টি মুঠোফোন এবং একটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়েছে।
মামলার বাদী র্যাব-১০–এর কর্মকর্তা মো. শামীম মঙ্গলবার রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, আসামিরা দীর্ঘদিন থেকে সাপের বিষের ব্যবসা করে আসছেন। এ ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত আছেন, কীভাবে সাপের বিষ সংগ্রহ করেছেন তা রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুন হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দুই মামলায় আদালত চার আসামিকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ দিয়েছেন।