বিলুপ্তপ্রায় ১৯ প্রজাতির মাছের প্রজনন ও চাষপ্রযুক্তি উদ্ভাবন

কর্মশালা শেষে গবেষণা পুকুরের ৮০ কেজি ওজনের পাঙাশ মাছ দেখাচ্ছেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. খলিলুর রহমান।  ছবি: প্রথম আলো
কর্মশালা শেষে গবেষণা পুকুরের ৮০ কেজি ওজনের পাঙাশ মাছ দেখাচ্ছেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. খলিলুর রহমান। ছবি: প্রথম আলো

দেশীয় ২৬০ প্রজাতির মাছের মধ্যে ৬৪ প্রজাতির মাছ সময়ের বিবর্তনে বিলুপ্তপ্রায়। গবেষণা করে ইতিমধ্যে বিলুপ্তপ্রায় ১৯ প্রজাতির মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও চাষপ্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। এ কারণে বাজারে পাবদা, গুলশা, ট্যাংরা, গুতুম, মেনি, মহাশোল, কুচিয়া, দেশি পুঁটি ইত্যাদি মাছ সহজলভ্য হয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অবস্থিত বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানান গবেষকেরা। ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে গতকাল মঙ্গলবার ‘মৎস্যপ্রযুক্তি সম্প্রসারণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক দিনব্যাপী এ কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয় ও ময়মনসিংহ জেলার গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।

মাছ উৎপাদনে সফলতার বিষয়টি তুলে ধরার পাশাপাশি মাছ চাষে ফসলি জমি নষ্ট না করার পরামর্শ দেন গবেষকেরা। তাঁরা জানান, দেশে এখন ৪২ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপন্ন হচ্ছে। এর মধ্যে উন্মুক্ত জলাশয় (নদী, বিল, হাওর) থেকে ২৫ ভাগ, বদ্ধ জলাশয় (পুকুর, ডোবা) থেকে ৫৭ ভাগ এবং বাকি অংশ সমুদ্র থেকে উৎপাদিত হচ্ছে। দেশে ৮ লাখ হেক্টর বদ্ধ জলাশয়ের বাইরে আর কোনো ফসলি জমি নষ্ট করে মাছ চাষ করা ঠিক হবে না। বিদ্যমান নদী ও পুকুরগুলোতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়াতে হবে।

ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য মো. জসিমউদ্দিন খান। বিভিন্ন গবেষণা ও উদ্ভাবিত প্রযুক্তি নিয়ে আলোকপাত করেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. নূরুল্লাহ ও মো. খলিলুর রহমান এবং মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এইচ এম কোহিনুর।

মহাপরিচালক বলেন, বিলুপ্তপ্রায় মাছগুলোকে খাবার টেবিলে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি মাছের প্রক্রিয়াজাত নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে অপ্রচলিত মৎস্যসম্পদ হিসেবে কাঁকড়া, কুচিয়া ও সমুদ্র-শৈবাল নিয়ে গবেষণায় সফল হওয়া গেছে। তা ছাড়া ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়াতে বেশ কিছু গবেষণা চলমান।