শিশুশ্রম নিরসনে কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন দরকার

গোলটেবিল বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাকিউন নাহার বেগম। পাশে আইএলওর এ দেশীয় প্রতিনিধি টুমো পৌটিআইনেন।  ছবি: প্রথম আলো
গোলটেবিল বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাকিউন নাহার বেগম। পাশে আইএলওর এ দেশীয় প্রতিনিধি টুমো পৌটিআইনেন। ছবি: প্রথম আলো

এসডিজি অর্জনে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে সব ধরনের শিশুশ্রম নিরসন করতে হবে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকা পুনর্মূল্যায়ন, কার্যকর কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও এর বাস্তবায়নসহ সমন্বিত উদ্যোগ দরকার।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রথম আলো কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ৮.৭: শিশুশ্রম নিরসনে অগ্রগতি ও প্রতিবন্ধকতা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা এসব কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহযোগিতায় এ বৈঠকের আয়োজন করে প্রথম আলো। সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম।

শিশু শ্রমিকের সংখ্যা আগের তুলনায় কমেছে উল্লেখ করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাকিউন নাহার বেগম বলেন, তা সত্ত্বেও দেশের শিশুশ্রম পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক। তবে সবাই মিলে কাজ করলে ২০২৫ সালের মধ্যে অবশ্যই দেশকে শিশুশ্রমমুক্ত করা সম্ভব। শিশুশ্রম নিরসনে মন্ত্রণালয় থেকে ২৮৪ কোটি টাকার প্রকল্পসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকা পুনর্মূল্যায়ন, শিশু শ্রমিকদের হালনাগাদ ডেটাবেইস তৈরি, বিদ্যমান আইন নিয়ে আরও কাজ করা দরকার।

গোলটেবিলে জানানো হয়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০০৩ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ১৫ লাখ শিশুর শিশুশ্রম নিরসন হয়েছে। এখনো দেশে ১৭ লাখ শিশু শিশুশ্রমের সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে ১২ লাখের বেশি শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে।

আইএলওর এদেশীয় প্রতিনিধি টুমো পৌটিআইনেন বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশুশ্রম নিরসন করা সহজসাধ্য কাজ নয়। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাস্তবসম্মত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন করতে হবে।

লক্ষ্যমাত্রা পূরণে প্রকল্পকে যথেষ্ট মনে করছেন না শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের চাইল্ড লেবার মনিটরিং সেলের কো-চেয়ার সালমা আলী। এই আইনজীবী বলেন, গৃহকর্মীসহ সব ধরনের শিশু শ্রমিকের জন্য সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করা দরকার।