মঠবাড়িয়ায় স্কুলছাত্রকে হত্যায় এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় মো. সবুজ (১২) নামের এক স্কুলছাত্রকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. আবদুল মান্নান এ রায় দেন।

সাজা পাওয়া আসামির নাম আমির হোসেন (৪৫)। তিনি উপজেলার খায়ের ঘটিচোরা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি রিকশা চালাতেন।

নিহত মো. সবুজ উপজেলার মঠবাড়িয়া পৌরসভার বাসিন্দা মো. শাহিনের ছেলে। সে স্থানীয় উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসানুল কবির বলেন, ‘আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’ তবে মামলার বাদী সবুজের মা খাদিজা বেগম রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খান মো. আলাউদ্দিন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, মঠবাড়িয়া পৌরসভার একটি ভাড়া বাড়িতে খাদিজা বেগম দুই ছেলেকে নিয়ে বসবাস করতেন। এক নারীর সঙ্গে রিকশাচালক আমিরের অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলেন খাদিজা। এ ঘটনায় খাদিজা আমিরকে জুতাপেটা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমির খাদিজার ছোট ছেলে সুমনকে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। ২০১০ সালের ৭ জুলাই সকালে খাদিজার বড় ছেলে সবুজ স্থানীয় জামে মসজিদের পুকুর ঘাটে যায়। সেখান থেকে আমির সবুজকে রিকশায় বেড়ানোর কথা বলে উপজেলার শাখারিকাঠি গ্রামে নিয়ে যান। এরপর হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দী একটি পুকুরে ফেলে রাখেন।

মামলার বিবরণ থেকে আরও জানা যায়, ৯ জুলাই দুপুরে স্থানীয় লোকজন পুকুরে বস্তাভর্তি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে খাদিজা বেগম ছেলের লাশ শনাক্ত করেন। ওই দিন খাদিজা বাদী হয়ে আমিরকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। এরপর আমিরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। আমির আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ২০১১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর পুলিশ আমিরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলার ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়।