রিফাত হত্যার আসামিদের দেশত্যাগ ঠেকাতে রেড অ্যালার্ট

বরগুনা শহরের কলেজ রোডে বুধবার প্রকাশ্যে কোপানো হয় রিফাত শরীফকে। এতে তাঁর মৃত্যু হয়। ছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত
বরগুনা শহরের কলেজ রোডে বুধবার প্রকাশ্যে কোপানো হয় রিফাত শরীফকে। এতে তাঁর মৃত্যু হয়। ছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত

বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যার আসামিরা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন, সে জন্য দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও নৌবন্দরে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে আজ শুক্রবার সকালে প্রথম আলোকে এই তথ্য জানানো হয়।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, রিফাত শরীফ হত্যার ঘটনায় অভিযোগে থাকা আসামিরা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন, এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও নৌবন্দরগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রিফাত শরীফকে হত্যা মামলার আসামিরা যাতে সীমান্ত অতিক্রম ও দেশ ত্যাগ করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে গতকাল বৃহস্পতিবারই মৌখিকভাবে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। গতকাল সকালে ঘটনাটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস। আদালত বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। দেশের সবাই এ ঘটনায় মর্মাহত। সমাজটা কোথায় যাচ্ছে!

আসামিদের যেকোনো মূল্যে গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রিফাত শরীফ হত্যার ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে।

রিফাত শরীফকে হত্যার ঘটনায় বুধবার তাঁর বাবা আবদুল হালিম মামলা করেন। সাব্বির, রিফাত, রিশানসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার বরগুনা শহরে প্রকাশ্যে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকার সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনার ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।