প্রশ্নফাঁস চক্রের আট শিক্ষক রিমান্ডে

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে আদালত ওই আটজনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে পুলিশ আসামিদের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

নেত্রকোনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার গ্রেপ্তার হওয়া ৩২ আসামির মধ্যে ওই আটজনের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। পরে আদালতের হাকিম দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’

রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া ব্যক্তিরা হলেন কেন্দুয়ার বলাইশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল মান্নান, দিগদাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মজিবুর রহমান, নোওয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আজাহারুল ইসলাম, একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুজ্জামান ভূঁইয়া, কেন্দুয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী বিকাশ দে, ব্যবসায়ী মো. জুয়েল, মো. আবুল বাশার ও বিলাশ সরকার।

এদিকে ঘটনায় জড়িত অভিযোগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, ‘সহকারী আট শিক্ষককে  রোববার রাতে তিনি বরখাস্ত করেছেন। আর তিনজন প্রধান শিক্ষককে ময়মনসিংহ বিভাগীয় উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন আজ সোমবার দুপুরে বরখাস্ত করেন।’

নেত্রকোনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এস এম আশরাফুল আলম বলেন, ‘ওই চক্রটির নেটওয়ার্ক খুবই বিস্তৃত। তারা দীর্ঘ দিন ধরে এভাবে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা এক শিক্ষক প্রশ্নের ছবি তুলে তা মুঠোফোনে সরবরাহ করেন। সেখান থেকে প্রশ্নের উত্তর ইলেকট্রনিকস ডিভাইসসহ বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে যেত। গ্রেপ্তার হওয়াদের ব্যাংক হিসাবসহ বিভিন্ন সন্ধান চালানো হচ্ছে। এতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে এখন বলা যাচ্ছে না।’