রিফাত ফরাজী সাত দিনের রিমান্ডে

রিফাত ফরাজী
রিফাত ফরাজী

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি রিফাত ফরাজীকে (২৩) সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, রিফাত শরীফ হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি রিফাত ফরাজীর ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে বরগুনা থেকে রিফাত ফরাজীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি রিফাত ফরাজীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ।

বুধবার সকাল ৯টায় বরগুনা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিফাত ফরাজিকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানায় পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগের উপমহাপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম ও বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন। এ সময় আসামি রিফাত ফরাজীকে উপস্থিত করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রিফাত ফরাজীকে গ্রেপ্তার করা জন্য ৭ দিন ধরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে এ মামলায় গ্রেপ্তার হন চন্দন (২১), মো. হাসান (১৯), অলিউল্লাহ (২২), টিকটক হৃদয় (২১)। তাঁরা এজাহারভুক্ত আসামি। সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার হন নাজমুল ইসলাম (১৮), সাগর (১৯), তানভীর (২২), কামরুল হাসান ওরফে সাইমুন (২১)। এই মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড (২৫) বরগুনা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের পূর্ব বুড়িরচর গ্রামে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।

গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকার সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। বেলা তিনটার দিকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফাতের মৃত্যু হয়।