ছাত্রীকে ধর্ষণ-হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখে দুর্বৃত্তরা!

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ নিজ ঘরে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে শিশুটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন যুবককে আটক করেছে।

ওই শিশুর নাম হীরা আক্তার (১২)। তার বাবা মোরেলগঞ্জের পশ্চিম বহরবুনিয়া গ্রামের দিনমজুর গাউস শেখ। শিশুটি স্থানীয় ছাপড়াখালী গাজীরঘাট দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। পুলিশ মঙ্গলবার রাতেই হীরার লাশ উদ্ধার করে। শিশুটির বাবার অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর দুর্বৃত্তরা তার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ঘরের মধ্যে ঝুলিয়ে রাখে।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা সার্কেল) রিয়াজুল ইসলাম বলেন, দুর্বৃত্তরা হীরা আক্তারকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় সব আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে তিন যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। পুলিশ মঙ্গলবার রাতেই হীরার লাশ উদ্ধার করে। তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত ওই গ্রামে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ না থাকায় তার লাশ বুধবার সকালে মোরেলগঞ্জ থানায় আনা হয়।

হীরার বাবা গাউস শেখ অভিযোগ বলেন, তাঁর স্ত্রী মঙ্গলবার দুপুরের দিকে শ্যালিকাকে নিয়ে বাগেরহাট শহরে ডাক্তার দেখাতে যান। তখন তিনি ও হীরা বাসায় ছিলেন। সন্ধ্যার দিকে তিনি স্থানীয় বহরবুনিয়া বাজারের যান। সন্ধ্যার পর বাসায় ফিরে তিনি হীরাকে ঘরের আড়ার সঙ্গে গামছা দিয়ে ঝোলানো দেখতে পান। তাঁর অভিযোগ, হীরাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে দুর্বৃত্তরা।

মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, বুধবার সন্ধ্যার দিকে হীরার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তার পরিবারকে থানায় আসতে বলা হয়েছে। তারা এলে এ ব্যাপারে মামলা হবে। তিনি জানান, আটক তিন যুবককে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম বলা যাচ্ছে না।