অধ্যক্ষ সিরাজের বিরুদ্ধে নুসরাতের শ্লীলতাহানির মামলা ট্রাইব্যুনালে

অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা।
অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা।

মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানের শ্লীলতাহানির ঘটনায় সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার বরখাস্ত অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে করা মামলাটি ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

ফেনীর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আজ বৃহস্পতিবার সকালে শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। আগামী ১০ জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

বুধবার বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহ আলম ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. জাকির হোসাইনের আদালতে এই মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন।

মামলার একমাত্র আসামি সিরাজকে আজ সকালে আমলি আদালতের বিচারিক হাকিমের এজলাসে হাজির করা হয়। তাঁর উপস্থিতিতে অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি শেষে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ মার্চ বেলা পৌনে ১১টার দিকে মাদ্রাসার পিয়ন নুরুল আমিনকে দিয়ে আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহানকে অধ্যক্ষের অফিসকক্ষে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে নুসরাতের শ্লীলতাহানি করেন অধ্যক্ষ সিরাজ।

এই ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজকে একমাত্র আসামি করে নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সোনাগাজী থানায় একটি মামলা করেন। এই মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলা পর নুসরাত ফেনীর বিচারিক হাকিম আদালতে জবানবন্দি দেন।

তদন্ত কর্মকর্তা জানান, মামলায় দুজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ ২৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এম শাহজাহান সাজু বলেন, নুসরাতের শ্লীলতাহানির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি শেষে তা ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ হয়েছে। ১০ জুলাই মামলার পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে।