এরশাদ লাইফ সাপোর্টে

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ফাইল ছবি
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ফাইল ছবি

সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া চারটায় তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় বলে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাবলু প্রথম আলোকে জানান। সিএমএইচের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে এ কথা জানান বাবলু।

গত ২২ জুন থেকে ৯০ বছর বয়সী এরশাদ সিএমএইচে চিকিৎসাধীন। জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা এরশাদ হিমোগ্লোবিন-স্বল্পতা, ফুসফুসে সংক্রমণ ও কিডনির জটিলতায় ভুগছেন।

আজই এরশাদের শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা জানান তাঁর ছোট ভাই ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেছেন, তিন দিন ধরে দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত আছে। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে এরশাদের ছোট ভাই কাদের বলেন, চিকিৎসকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী শারীরিক উন্নতি হচ্ছে না এরশাদের। তবে সিএমএইচের চিকিৎসকেরা এরশাদকে বিশ্বমানের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় এরশাদের শারীরিক সর্বশেষ অবস্থা গণমাধ্যমকে জানান জি এম কাদের। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।

জি এম কাদের বলেন, এরশাদের ফুসফুসের সংক্রমণ প্রত্যাশা অনুযায়ী কমছে না। প্রয়োজন অনুযায়ী কিডনি কাজ করছে না, এ কারণে তাঁর শরীরে কিছুটা পানি জমেছে। কিন্তু সিএমএইচের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কাদের বলেন, এরশাদকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকেরা।

কাল শুক্রবার দেশের সব মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া করতে দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন জি এম কাদের।

গত সোমবার অসুস্থ সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদকে দেখতে সিএমএইচে যান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওনার (এরশাদ) অবস্থা ক্রিটিক্যালই বলা যায়। ডাক্তাররা সকলেই মত দিয়েছেন, এ মুহূর্তে বাইরে নেওয়ার মতো অবস্থা নেই। এখানেই চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। এখন বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।’