সেতু থেকে নদীতে ফেলে শিশু হত্যা, সৎ মা গ্রেপ্তার

সিলেটের কুমারগাঁও এলাকায় সুরমা নদীর ওপর তৃতীয় শাহজালাল সেতু থেকে এক শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ শনিবার শিশুটির সৎ মাকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

ঘটনার শিকার ওই শিশুর নাম মাহা বেগম (৫)। তার সৎ মায়ের নাম সালমা বেগম। শিশুটির বাবা জিয়াউল হক বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে জালালাবাদ থানায় সালমার বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় সালমাকে আদালতের মাধ্যমে করাগারে পাঠানো হয়েছে।

তবে সালমা বেগম তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি এটাকে দুর্ঘটনা বলে দাবি করছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার বিকেল তিনটার দিকে তৃতীয় শাহজালাল সেতু থেকে মাহাকে নদীতে ফেলে দেন সালমা। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা সালমাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শিশুটির লাশ অনুসন্ধানে জালালাবাদ থানা-পুলিশের সদস্য, সিলেট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের তিন ডুবুরি সুরমা নদীতে নামেন। তারা শুক্রবার বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালান। এ সময় তারা মাহার মরদেহ খুঁজে পেতে ব্যর্থ হন। তবে আজ বিকেলে সিলেট সদর উপজেলার লামাকাজি অংশের সুরমা নদীতে মাহার লাশ ভেসে ওঠার খবর পাওয়া যায়।

সিলেট জালালাবদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন কুমার শীল বলেন, ‘বিকেল সোয়া চারটার দিকে লাশ ভেসে ওঠার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। পরে বিকেল পাঁচটার দিকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।’

পুলিশ জানিয়েছে, সালমা জিয়াউলের দ্বিতীয় স্ত্রী। জিয়াউলের প্রথম স্ত্রীর মেয়ে মাহা। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর সালমাকে বিয়ে করেন জিয়াউল। সালমা ও জিয়াউলের ঘরেও একটি সন্তান আছে। তবে পারিবারিক কলহের জেরেই সালমা মাহাকে পানিতে ফেলে দিয়েছেন বলে মামলায় অভিযোগ করেছেন জিয়াউল।

সিলেট জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওকিল উদ্দিন আহমদ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সালমা শিশুটিকে নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে প্রত্যক্ষদর্শী ও ঘটনার সূত্র ধরে ধারণা করা হচ্ছে, সালমা ইচ্ছেকৃত ভাবে কাজটি করেছেন। এই ঘটনার তদন্ত চলছে।