মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের মামলা

পটুয়াখালীর গলাচিপায় ১১ বছরের ছাত্রীকে এক মাদ্রাসা শিক্ষক ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার শিশুটির বাবা ওই শিক্ষককে আসামি করে মামলা করেছেন। গত ২৯ জুন ওই ঘটনা ঘটে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ ফরাজি (৪০)। তিনি নিজ বাড়িতে একটি আবাসিক নুরানি-হাফেজি মাদ্রাসা পরিচালনা করে আসছেন। বর্তমানে তিনি পলাতক। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তাঁর ছোট ভাই ইব্রাহিম ফরাজিকে আটক করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিশুটি ওই মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। আরও এক বোনসহ সে মাদ্রাসায় আবাসিক ছাত্রী হিসেবে লেখাপড়া করে আসছে। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৯ জুন ভোর ছয়টার দিকে মোহাম্মদ ফরাজি চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে তাঁর বসতঘরের বারান্দায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে শিশুটি তার বড়বোনের সঙ্গে বাড়ি চলে যায় ও বিষয়টি পরিবারকে জানায়।

শিশুটির বাবা অভিযোগ করেন, বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় পর্যায়ে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয়। মীমাংসার জন্য তাঁর ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। তাঁর ভাষ্য, তিনি কোনো ধরনের মীমাংসায় যেতে রাজি নন। তিনি প্রচলিত আইনে দোষীর বিচার চান।

গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার মোর্শেদ জানান, মামলার পর তাৎক্ষণিক ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযুক্ত মোহাম্মদ ফরাজি পলাতক। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর ছোট ভাই ইব্রাহিম ফরাজিকে আটক করা হয়েছে। ইব্রাহিম ফরাজি ছেলেদের নিয়ে অপর একটি আবাসিক মাদ্রাসা পরিচালনা করছেন। ওই শিশুকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।