মশক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে: এলজিআরডি মন্ত্রী

আজ রোববার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা মহানগরীর মশক নিধন কার্যক্রম বিষয়ক পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
আজ রোববার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা মহানগরীর মশক নিধন কার্যক্রম বিষয়ক পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘ঢাকা মহানগরীতে মশক নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য দপ্তর বা সংস্থা তাদের কার্যক্রম জোরদার করেছে। কাজেই এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই’।

আজ রোববার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা মহানগরীর মশক নিধন কার্যক্রম বিষয়ক পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্বকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, মশক নিধনে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত ওষুধ কেনা হচ্ছে। সভায় কীটনাশক ক্রয়ের পূর্বে এর যথাযথ মান যাচাই এবং মশক নিধন কার্যক্রমের নিবিড় তদারকি করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন তিনি। মশার ওষুধ প্রয়োগে কারও অবহেলা পেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, এবার কেবল জুন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭১৩ জন; যা বিগত তিন বছরের শুধু জুন মাসের তুলনায় ৫ গুণেরও বেশি। আর চলতি মাসের প্রথম চার দিনে ৩৫৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে কেবল গত বৃহস্পতিবার ১৪২ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

সভায় ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রদ্বয় মশা নিধনে ও ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে তাদের সামগ্রিক কার্যক্রম তুলে ধরেন এবং ডেঙ্গুর প্রকোপ ধীরে ধীরে কমে আসবে বলে জানান। ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ থেকে রক্ষা পেতে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি বলেও তারা মত দেন।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ঢাকা ওয়াসার পানি নিয়ে হাইকোর্টে যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে তাতে অধিকাংশ জায়গার পানিতেই কোন সমস্যা নেই। অল্প কিছু জায়গায় যে সমস্যা রয়েছে তা দ্রুত সমাধানের জন্য ঢাকা ওয়াসা ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ প্রমুখ। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।