যোগ্য নিউজপোর্টাল নিবন্ধন পাবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান

অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের প্রচার বন্ধে যোগ্য নিউজপোর্টালগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। রোববার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

অসত্য ও ভুয়া সংবাদ পরিবেশনকারী বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা ও নিউজপোর্টাল বন্ধ করতে সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে? এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল আছে যারা অনেক ক্ষেত্রে সঠিক সংবাদ পরিবেশন করে না, বিভ্রান্তিকর বা বিব্রতকর খবর দেখতে পাই। আমরা এসব নিউজপোর্টাল নিবন্ধনের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। এসব অনলাইন নিউজপোর্টালকে নিবন্ধনের জন্য ৩০ জুন পর্যন্ত আবেদনের সময় দেওয়া হয়েছিল। পরে সময় ১৫ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়। আবেদনের সময় শেষ হলে এগুলো পর্যালোচনা ও যাচাই-বাছাই করে যোগ্য নিউজপোর্টালকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। বিভ্রান্ত-বিব্রতকর ও ভুল তথ্যের প্রচার ও প্রকাশ বন্ধে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’

প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরুর আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের আওতায় সাংবাদিকদের স্বাধীন সংবাদ পরিবেশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে কি না? জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমানের এ-সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মুরাদ হাসান বলেন, ‘তথ্যের অবাধপ্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য সরকার আন্তরিক। যে ধারাটির বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তাতে সংবাদ প্রচার ও প্রকাশে কোনো বাধা আছে বলে মনে করি না। তবে সাংবাদিকদের কোন কোন ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে জানানো হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সরকারি দলের আবু জাহিরের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মুরাদ হাসান বলেন, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এবং অনলাইন পোর্টাল অসত্য ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করছে কি না, তা তথ্য মন্ত্রণালয় সার্বক্ষণিকভাবে নজরদারি ও তদারকি করছে। কোথাও মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার হলে মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়। ইতিমধ্যে ৫৭ ধারা প্রবর্তিত হয়েছে। কোথাও বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন হলে ভবিষ্যতেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।