ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতু ভেঙে ট্রাক খাদে

গোয়াইনঘাট উপজেলার সারী-গোয়াইন সড়কের বার্কিপুর বেইলি সেতু ভেঙে একটি পণ্যবাহী ট্রাক খাদে পড়ে গেছে। সিলেট, ৭ জুলাই। ছবি: আনিস মাহমুদ
গোয়াইনঘাট উপজেলার সারী-গোয়াইন সড়কের বার্কিপুর বেইলি সেতু ভেঙে একটি পণ্যবাহী ট্রাক খাদে পড়ে গেছে। সিলেট, ৭ জুলাই। ছবি: আনিস মাহমুদ

বেইলি সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ফলে সেতুটির ওপর দিয়ে নিষিদ্ধ ছিল ভারী যান চলাচল। তা সত্ত্বেও সিমেন্টবোঝাই ট্রাক পার হওয়ার সময় হুড়মুড় করে সেতুর একাংশ ভেঙে যায়। পরে সেতুর ওপরে থাকা ট্রাকটি পড়ে যায় খাদে।

রোববার বেলা ১১টার দিকে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সারী এলাকার বেইলি সেতুতে এই ঘটনা ঘটে। এতে এপার-ওপারের মানুষ ভাঙা সেতুর রেলিং দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার এটি সংযোগ সেতু।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতুটি ২০১৭ সালে পাহাড়ি ঢলের বন্যায় নড়বড়ে হয়ে পড়ে। প্রায় এক বছর আগে একইভাবে ট্রাক আটকে পড়ে সেতু ধসে পড়ে। দ্রুত সংস্কার করে সেতুর এপার-ওপারে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ লেখা–সংবলিত সাইনবোর্ড সাঁটানো হয়েছিল। পাঁচ টনের অধিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। তা উপেক্ষা করে একটি সিমেন্টভর্তি ট্রাক সেতু পারাপারে রেলিং ভেঙে ধসে পড়ে। সেতুর একাংশ ভেঙে ট্রাক আটকা পড়ার পর থেকে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্টো-ট-১৩-৪২৮৫) সিলেট থেকে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরে যাওয়ার সময় বেইলি সেতু পাড়ি দেওয়ার সময় পাটাতন ভেঙে ট্রাকটির ঝুলে পড়ে। গোয়াইনঘাট উপজেলা সদর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে সেতুটির অবস্থান। ট্রাক পারাপারের সময় সেতুর ওপর কোনো মানুষ না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল প্রথম আলোকে বলেন, সেতুটি দুই উপজেলার মানুষের যাতায়াতের বিকল্প একটি ব্যবস্থা। দ্রুত সংস্কার করা না হলে ভোগান্তির মুখে পড়তে হবে। বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশল বিভাগকে জানানো হয়েছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়া বলেন, সেতু সংস্কারে একটি দল সেখানে পাঠানো হয়েছে। সওজের ওই দলটির পর্যবেক্ষণ শেষে সেতু সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। সংস্কারে ঠিক কত দিন লাগবে, এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, এক বছর আগে এ রকম একটি দুর্ঘটনার পর সংস্কার করে সেতু দিয়ে ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সাইনবোর্ডও সাঁটানো ছিল সেতুর উভয় দিকে। কিন্তু তা না মানায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।