মোবাইল চুরির কারণেই গলা কেটে হত্যাচেষ্টা

মাগুরা সদর উপজেলার একটি মাদ্রাসায় মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক ছাত্রের গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। মাগুরা জেলা পুলিশ সোমবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, উপজেলার বাগবাড়িয়া দারুল কোরআন মাদ্রাসার সাবেক হাফেজ নাইম ওরফে বড় নাইম (২০)। সাবেক ছাত্র হওয়ার সুবাদে মাদ্রাসায় তাঁর যাতায়াত ছিল। দেড় মাস আগে মাদ্রাসা থেকে তাঁর একটি মোবাইল চুরি হয়ে যায়। এ সময় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোবাইলটি হাবিব উল্লাহ (১৫) নামের বর্তমান এক ছাত্রের কাছে থেকে উদ্ধার করে নাইমকে দেন। তবে এতেই সন্তুষ্ট হননি নাইম। পরে এই চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৪ জুলাই নাইম ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাবিব উল্লাহকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চালান।

পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে রোববার রাতে নাইমকে আটক করে মাগুরা সদর থানা-পুলিশ। এ সময় হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান বলেন, দেড় মাস আগে নাইমের মোবাইলটি চুরি হয়। তবে মোবাইলটি উদ্ধার হওয়ার পরেও হাবিবকে হত্যার চেষ্টা করে নাইম। রোববার রাতে আটকের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য জানিয়েছে নাইম।

পুলিশ বলছে, গত ৪ জুলাই রাতে হাবিব উল্লাহসহ পাঁচ শিক্ষার্থী মাদ্রাসার বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিল। রাত তিনটার দিকে হাবিবের ওপর হামলা হয়। সেই সময় হাবিব চিৎকার দিলে সন্দেহভাজন হামলাকারী পালিয়ে যায়। এ সময় গলা ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাত নিয়ে হাবিব হাসপাতালে ভর্তি হয়। বর্তমানে হাবিব মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ অভিযোগে হাবিবের মা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেছেন।