ডাক বিভাগের চিঠির লেনদেন বেড়েছে

ডাক বিভাগের চিঠিপত্র লেনদেন ও পার্সেল আদান–প্রদানের সংখ্যা বেড়েছে। সংসদে আজ মঙ্গলবার এক প্রশ্নের জবাবে তিন অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তফা জাব্বার এ তথ্য জানান।

গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকারের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ২০১৮–১৯ অর্থবছরে ডাক বিভাগে ১৭ কোটি ৪০ লাখ চিঠিপত্র ও পার্সেল আদান–প্রদান হয়েছে। এর আগে ২০১৭–১৮ অর্থবছরে ১৪ কোটি ৮২ লাখ এবং ২০১৬–১৭ অর্থবছরে ১৩ কোটি ৩৫ লাখ চিঠিপত্র ও পার্সেল আদান–প্রদান হয়েছে। মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৬ মার্চ ডাক বিভাগের ফিনানশিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ উদ্বোধন করেছেন। এই সার্ভিসটি ব্যাপক গ্রাহকপ্রিয়তা পেয়েছে। এই সার্ভিসে ১ লাখ ৫৪ হাজার এজেন্ট এবং ২৪ লাখ সক্রিয় গ্রাহক রয়েছে। এই সার্ভিসে প্রতিদিন গড়ে ১৫ কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে।
চিঠিপত্র ও পার্সেল আদান–প্রদানের সংখ্যা বাড়লেও ডাক বিভাগ এখনো লোকসানের ধারা থেকে বের হতে পারেনি। মন্ত্রী জানান, ২০১৬–১৭ অর্থবছরে ৩৭৪ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের বিপরীতে ব্যয় হয়েছে ৮৩৭ কোটি টাকা। ২০১৭–১৮ অর্থবছরে ৪০৫ কোটি টাকা আয়ের বিপরীতে ব্যয় হয়েছে ৮৪১ কোটি টাকা। সর্বশেষ ২০১৮–১৯ অর্থবছরে ৪৪৫ কোটি টাকা আয়ের বিপরীতে ব্যয় হয়েছে ৮৭৮ কোটি টাকা।
জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, সরকারি অফিসের কাজে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আনতে ২০১৬ সালে ই–নথি ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। কাজটি চলমান আছে। ২০২০ সালের মধ্যে ১৯ হাজার সরকারি অফিস ই–নথির আওতায় আনা হবে। বর্তমানে ৫ হাজার ২১৫টি সরকারি অফিসে ই–নথি চালু আছে।

প্রশ্নোত্তরেরর আগে বিকেল পাঁচটার পর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।