গাইবান্ধায় ইউএনওর ফোন নম্বর ক্লোন করে প্রতারণা

গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সরকারি মুঠোফোন নম্বরের প্রতিরূপ (ক্লোন) তৈরি করে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার তাঁর ক্লোন করা নম্বর থেকে ফোন করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্রের সদস্যরা।

ওই বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। কেউ যাতে এ ধরনের প্রতারণার ফাঁদে না পড়েন, সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পাতায়ও পোস্ট দেওয়া হয়েছে।

ইউএনও মো. নবী নেওয়াজ বলেন, সোমবার দুপুরে তাঁর সরকারি মুঠোফোন নম্বরটি ক্লোন করা হয়। এ নম্বর থেকে প্রতারক চক্র উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষক ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে সরকারি বরাদ্দ প্রদানসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে টাকা দাবি করে। এ ছাড়া শিক্ষা উপকরণ ও বিভিন্ন সরকারি বরাদ্দ দেওয়ার জন্য খরচ হিসেবে বিভিন্নজনের কাছে বিকাশের মাধ্যমে টাকা চাওয়া হয়। এ ফাঁদে পড়ে মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক শিক্ষক সাত হাজার টাকা বিকাশে পাঠিয়ে দিয়েছেন। 

মোস্তাফিজুর রহমান মনদুয়ার মতিউননেছা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘আমার মুঠোফোনে ইউএনও স্যারের নম্বরটি সংরক্ষিত রয়েছে। সোমবার তাঁর নম্বর থেকে হঠাৎ ফোন আসে। ফোনে সাত হাজার টাকা আরেকটি নম্বরে বিকাশ করতে বলা হয়। আমি বিকাশে টাকা পাঠিয়ে দিই। তারপর জানতে পারি স্যারের ফোন নম্বরটি ক্লোন করা হয়েছে। পরে ওই নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।’

উপজেলা প্রশাসন বলছে, ইউএনওর মুঠোফোন নম্বর ক্লোনের বিষয়টি সর্বসাধারণকে জানিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইউএনওর নিজস্ব ফেসবুক ঠিকানাসহ ইউএনও সাদুল্যাপুর পাতায়ও সবাইকে সচেতন থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। ক্লোন করার বিষয়টি ও বিকাশে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে। প্রতারক চক্র শনাক্ত ও প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সাদুল্যাপুরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সাদুল্যাপুর থানার ওসি মো. আরশেদুল হক মুঠোফোনে বলেন, জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে দুজনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের সম্পর্কে আরও তথ্য-উপাত্ত যাচাই করা হচ্ছে।