পাবনায় 'বন্দুকযুদ্ধে' হত্যা মামলার আসামি নিহত

পাবনার সুজানগরে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সাইফুল ইসলাম ওরফে গেদা লাল (৩০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তাঁর বাড়ি উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামে। পুলিশের দাবি, নিহত সাইফুল এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ডাকাত সর্দার ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, অপহরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে পাঁচটি মামলা আছে।

সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসামপুর গ্রামে গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

সুজানগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অরবিন্দ সরকার বলেন, সাইফুল বেশ কিছুদিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ডাকাতি করছিলেন। তাঁকে খোঁজা হচ্ছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সন্ধ্যায় নরসিংহপুর গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজের কাছে অন্ত্র রাখার কথা স্বীকার করেন।

অরবিন্দ সরকার বলেন, হাসামপুর ঈদগাহ ময়দানের পাশে আগ্নেয়াস্ত্র রাখা আছে বলে জানান সাইফুল। এ তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাত দুইটার দিকে পুলিশ তাঁকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে বের হয়। রাত আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর আগে থেকে ওত পেতে থাকা ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। বেশ কিছুক্ষণ উভয় পক্ষের গুলিবিনিময়ের পর ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ডাকাত সর্দার সাইফুল ইসলামের লাশ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি শাটারগান, দুটি গুলি ও দেশে তৈরি পাঁচটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে। ঘটনায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিনারুল ইসলাম, কনস্টেবল আমজাদ হোসেন ও নূরুল ইসলাম আহত হন। তাঁদের সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সহকারী পুলিশ সুপার (সুজানগর সার্কেল) ফরহাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নিহত সাইফুল ইসলাম এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ডাকাত সর্দার ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে খুন, ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, অপহরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে পাঁচটি মামলা রয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তর জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।