কুষ্টিয়ায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত

কুষ্টিয়ায় ডেঙ্গু রোগে এক যুবক আক্রান্ত হয়েছেন। পরীক্ষা শেষে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক তাঁকে ডেঙ্গু রোগী হিসেবে শনাক্ত করেন। একই হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকদের ধারণা, ডেঙ্গু রোগের জীবাণু বহনকারী এডিস মশা কুষ্টিয়ায় আছে।

জানতে চাইলে কুষ্টিয়ার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন আবদুল মোমেন প্রথম আলোকে বলেন, বাইরে থেকে আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়ায় চিকিৎসা নেওয়ার রোগী এর আগে পাওয়া গেছে। কিন্তু কুষ্টিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম জানা গেল।

আক্রান্ত রোগীর নাম ইসমাইল হোসেন (২১)। তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে। জ্বর নিয়ে ইসমাইলের মা সালমা খাতুনও একই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকেরা তাঁর মায়েরও পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে জুন মাসে ঢাকার বাইরে প্রথম চট্টগ্রামের মা ও শিশু হাসপাতালে একজন এবং মাদারীপুর ও ময়মনসিংহে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছিল।

কুষ্টিয়ায় আক্রান্ত ইসমাইল হোসেনকে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের দুই নম্বর পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়েছে। পাশেই নারী ওয়ার্ডে তাঁর মাকে ভর্তি করা হয়েছে।

ইসমাইল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি কুষ্টিয়া শহরের বড় বাজার এলাকায় পুরোনো আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। একই সঙ্গে বালিয়াপাড়া গ্রামে শাহি মসজিদের ইমাম। গ্রামের বাড়িতেই মায়ের সঙ্গে থাকেন। গত কয়েক মাসের মধ্যে তিনি জেলার বাইরে যাননি। নয় দিন আগে তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। গ্রামের পল্লি চিকিৎসকের কাছেই তিনি চিকিৎসা নেন। জ্বরের মাত্রা বেড়ে গেলে গত রোববার তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।

ইসমাইল হোসেনের আত্মীয় ও প্রতিবেশী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গত সোমবার শহরের একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রক্ত পরীক্ষা করানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার প্রতিবেদন পেয়ে চিকিৎসক তাঁকে ডেঙ্গু রোগী হিসেবে শনাক্ত করেন। ইসমাইলের মা সালমা খাতুন তিন দিন আগে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এ এস এম মুসা কবির প্রথম আলোকে বলেন, ইসমাইল ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত—এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁর মায়েরও পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, কুষ্টিয়ায় এডিস মশা আছে। এ ছাড়া কুষ্টিয়ায় আরও পাঁচজন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। কিন্তু তারা ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়ায় চলে এসেছে।

এই চিকিৎসক আরও বলেন, হাসপাতালে স্বাভাবিক জ্বর নিয়ে প্রতিদিনই রোগী ভর্তি হচ্ছে।

কুষ্টিয়া শহরের সনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার তরুণ সাহা প্রথম আলোকে বলেন, চলতি মাসের ১ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত ১০ জন রোগী ডেঙ্গু পরীক্ষা করিয়েছেন। তার মধ্যে চারজন রোগী ডেঙ্গু শনাক্ত করা হয়েছে। বাকি ছয়জনের দেহে জীবাণু পাওয়া যায়নি।