সেফুদাকে নিয়ে প্রশ্ন করায় শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

রাজধানীর রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের (স্কুল শাখা) দশম শ্রেণির প্রাক্‌–নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র।
রাজধানীর রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের (স্কুল শাখা) দশম শ্রেণির প্রাক্‌–নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন স্ট্যাটাস ও বক্তব্য দিয়ে বিতর্কিত সেফাতুল্লাহ সেফুদাকে নিয়ে প্রশ্ন করায় রাজধানীর রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের একজন শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার প্রথম আলোকে এই তথ্য জানিয়েছেন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সদস্য ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকের নাম জাহিনুল হাসান। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

রাজধানীর রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের (স্কুল শাখা) দশম শ্রেণির প্রাক্‌–নির্বাচনী পরীক্ষায় একটি বিষয়ের প্রশ্নপত্র নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের ওই প্রশ্নপত্রের একটিতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন স্ট্যাটাস ও বক্তব্য দিয়ে বিতর্কিত প্রবাসী সেফাতুল্লাহ সেফুদাকে উদ্দীপক ধরে প্রশ্ন করায় সমালোচনা হচ্ছে।

জানা গেছে, ৪ জুলাই ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষার সৃজনশীল প্রশ্নের একটিতে সেফাতুল্লাহকে উদ্দীপক হিসেবে ব্যবহার করে বলা হয় বলা হয়, ‘অদ্ভুত ধরনের এক মানুষ সেফাতুল্লাহ সেফুদা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে বিভিন্ন রকম কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে। তরুণদের উদ্দেশে সে বলে “মদ খাবি মানুষ হবি, দেখ আমি আরও এক গ্লাস খাইলাম।” তার কথায় প্রতিবাদ করে একজন বিজ্ঞ আলেম বললেন, তার মধ্যে যদি ইমানের সর্ব প্রথম ও সর্বপ্রধান বিষয়ের প্রভাব পরিলক্ষিত হতো, তাহলে সে হয়ে উঠত একজন আত্মসচেতন ও আত্ম মর্যাদাবান ব্যক্তি।’ এই উদ্দীপকের ভিত্তিতে চারটি প্রশ্ন করা হয়।

এর আগে গত এপ্রিল মাসে ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্রের বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্রে (এমসিকিউ) দুটি প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তরে পর্নো তারকা মিয়া খলিফা ও সানি লিওনের নাম এসেছিল। তখন সেটি নিয়ে সমালোচনা হলে ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছিল।