সহপাঠীকে হত্যার দায়ে দুই কিশোরের সাজা

সহপাঠীকে হত্যার দায়ে নাটোরে দুই কিশোরকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তাদের ১০ বছর করে আটকাদেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া লাশ গুম ও চাঁদা দাবির দায়ে তাদের পাঁচ বছর ও তিন বছর করে আটকাদেশ দেওয়া হয়।

আজ বুধবার দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মাইনুল হক এ আদেশ দেন। এ ছাড়া চাঁদা দাবি ও লাশ গুমের দায়ে আরেক কিশোরকে পাঁচ ও তিন বছরের আটকাদেশ দেন একই আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, এই মামলায় হত্যার শিকার শিশু এবং আসামিরাও ঘটনার সময় শিশু ছিল। তাই মামলাটি শিশু আইনে বিচার করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৫ আগস্ট নাটোর শহরের আশরাফুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র তানভীর নিখোঁজ হয়। তাকে খোঁজাখুঁজির দুই দিন পর ২৭ আগস্ট মুঠোফোনে মুক্তিপণ বাবদ ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। বিষয়টি র‌্যাব অফিসে জানানো হলে ১ সেপ্টেম্বর সকালে ওই মাদ্রাসার টয়লেটের ট্যাংক থেকে তানভীরের মৃতদেহ উদ্ধার করে র‌্যাব।

এ ঘটনায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে তানভীরকে হত্যার দায় স্বীকার করে। ওই দিন রাতে তানভীরের বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন। মামলাটি সদর থানার উপপরিদর্শক সুকমল দেবনাথ তদন্ত করে ২০১৫ সালের ২৫ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি শিশু আদালতে বিচারের জন্য এলে ১৪ সাক্ষী সাক্ষ্য দেয়।