গাড়ি বন্ধ থাকলেও টাকা তুলে নেন কর্মকর্তা

সরকারি গাড়িটি বন্ধ থাকলেও সেটি ব্যবহার ও মেরামত বাবদ ভুয়া বিল-ভাউচারে টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন এক সরকারি কর্মকর্তা। এ অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়ে তার সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার এ অভিযান চালানো হয়। এ ছাড়া আরও দুটি অভিযানের পাশাপাশি ৯ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

দুদক জানায়, কুষ্টিয়ার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকারি গাড়ি ব্যবহারের টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ পেয় অভিযান পরিচালনা করে দুদকের কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি দল। অভিযানে দুদক দলটি অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়। দেখা গেছে, ওই কর্মকর্তার দাপ্তরিক গাড়িটি এপ্রিল মাস থেকে বন্ধ থাকলেও গাড়িটি ব্যবহার এবং মেরামত বাবদ ভুয়া বিল–ভাউচার ব্যবহার করে লক্ষাধিক টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থের বেআইনিভাবে আত্মসাতের অভিযোগে অনুসন্ধানের অনুমোদন চেয়ে কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে অভিযান পরিচালনাকারী দল।

পাবনা মানসিক হাসপাতালে সেবা প্রদানে হয়রানি, রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং হাসপাতালের খাবার ও ওষুধ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে দুদকের পাবনা জেলা সমন্বিত কার্যালয়। অভিযানে দুদক দলটি হাসপাতালে সেবার মান এবং খাবার সরবরাহে বেশ কিছু অনিয়ম পায়। এ ছাড়াও হাসপাতালের পাশের বেসরকারি সুরমা মেন্টাল হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ উদ্ধার করে দুদক দল। এ সময় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত হাসপাতালের এক মালিককে সাত দিনের কারাদণ্ড দেন।

এদিকে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় প্রকল্পের কাজ যথাযথভাবে না করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে সংস্থাটি। দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) অভিযোগ আসে, হেরিং বোন বন্ডের প্রকল্পের আওতায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ১৫০ মিটার রাস্তার কাজ করার জন্য ৫১ লাখ ২৫ হাজার ৩০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও রাস্তার কাজ যথাযথভাবে করা হচ্ছে না। এ পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় এ অভিযান চালায়। অভিযানে প্রাথমিকভাবে উক্ত রাস্তার কাজ নিম্নমানের হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। দুদক দলটি সড়ক নির্মাণ–সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহ করে।

এ ছাড়া দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে আসা অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করে কমিশনকে অবহিত করার জন্য ৯ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।