সাক্ষ্য একটু এদিক-সেদিক হয়েছে, মনিটর হচ্ছে

পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার। ফাইল ছবি
পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার। ফাইল ছবি

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান ও ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেছেন, নুসরাত হত্যা মামলায় সাক্ষীরা যাতে ভয় ভীতিহীন ভাবে সাক্ষ্য দিতে পারেন সে জন্য পিবিআই, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ও জেলা পুলিশ সুপার সজাগ আছে। কিন্তু তারপরও সাক্ষ্য একটু এদিক-সেদিক হয়েছে, সেগুলো মনিটরিং করা হচ্ছে।’

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আয়োজিত এক বিতর্ক অনুষ্ঠানে ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান হত্যা মামলার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে এসব কথা বলেন পিবিআই প্রধান। আজ শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) নারী নিপীড়ন বিষয়ক ওই বিতর্কের আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি নামের একটি সংগঠন।

গত ৬ এপ্রিল নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় দুই তরুণীসহ পাঁচজন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে মারা যান তিনি।
বনজ কুমার বলেন, নুসরাতের হত্যার মামলায় ৯২ জনকে সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে। নুসরাতের ভাইসহ ১৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া শেষ। এই সাক্ষীদের মধ্যে প্রথম সাতজন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে ৮ থেকে ৩২ নম্বর সাক্ষীদের ওপর নির্ভর করবে মামলা কত দূর এগিয়ে নেওয়া যাবে।

নুসরাত জাহানের আনা যৌন হয়রানির অভিযোগ ভিডিওতে ধারণ এবং তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১৫ এপ্রিল মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সায়েদুল হক। হাইকোর্টে এই মামলার জামিন শুনানিতে তার পক্ষের আইনজীবী বলেছিলেন, কানে কম শোনার কারণে ওসি মোয়াজ্জেম নুসরাতের বক্তব্য মুঠোফোনে ধারণ করার সময় বারবার একই প্রশ্ন করেছেন।

ওসি মোয়াজ্জেমের প্রসঙ্গে বনজ কুমার বলেন, কোনো মামলা প্রমাণ করার জন্য যতটুকু দরকার ততটুকু ভিডিও করার ক্ষমতা ওসির আছে। কিন্তু উনি ভিডিও করে যা করেছেন সে ক্ষমতা তাঁকে দেওয়া হয়নি।

নুসরাত হত্যা মামলা পরিচালনায় কোনো রাজনৈতিক বা মানসিক চাপ আছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে বনজ কুমার বলেন, ‘সত্য উদ্‌ঘাটন না করা পর্যন্ত সব মামলার ক্ষেত্রেই মানসিক চাপ থাকে। এই মামলায় সাক্ষ্য যাতে নড়চড় না হয় এবং সাক্ষীরা যাতে ভয়ভীতি হীন ভাবে সাক্ষ্য দিতে পারেন সে জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা আশা করছি আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত হবে।’