নারী কনস্টেবলের আত্মহত্যা, স্বামী রিমান্ডে

ঢাকায় নারী কনস্টেবল বিউটি আক্তারকে (২২) আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত আসামিকে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পুলিশকে অনুমতি দিয়েছেন।

আসামির নাম তারিকুল ইসলাম শাহিন (২৪)। তাঁর বাড়ি মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার ফুটি চৌগাছা গ্রামে। গত বৃহস্পতিবার মতিঝিল থানার এজিবি কলোনি হাসপাতাল জোনের একটি ভবনে ঝুলন্ত অবস্থায় বিউটি আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার বিউটির বাবা দুলাল মিয়া বাদী হয়ে তারিকুল ইসলাম শাহিনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। বিউটিদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায়।

মামলার এজাহারে দুলাল মিয়া বলেছেন, তারিকুল নিজেকে পুলিশ কনস্টেবল পরিচয় দিয়ে তাঁর মেয়ে বিউটির সঙ্গে সম্পর্ক করে। এক বছর আগে বিউটিকে বিয়ে করেন তারিকুল। বিয়ের পর বিউটি জানতে পারেন, তারিকুল পুলিশ কনস্টেবল নন। বরং তাঁকে বিয়ের আগে আরও একটি বিয়ে করেছিলেন তারিকুল। এ তথ্য জানার পর থেকে তারিকুলের সঙ্গে বিউটির মনোমালিন্য চলছিল।

দুলাল মিয়া আরও বলেন, বিউটি আক্তার তাঁকে মুঠোফোনে জানিয়েছিলেন, তারিকুল খারাপ ব্যবহার করছে। মুঠোফোনে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিতেন না বলে অভিযোগ করেছিলেন বিউটি। দুলালের অভিযোগ, বিউটিকে আত্মহত্যা করার জন্য নানাভাবে প্ররোচনা দিয়ে আসছিলেন তারিকুল। তাঁর প্ররোচনাতেই বিউটি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন।

মতিঝিল থানা-পুলিশ আদালতে এক প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, আসামি তারিকুল মিথ্যা পরিচয় দিয়েছেন। আগের বিয়ে ও সন্তানের কথা গোপন করে বিউটি আক্তারের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন তিনি। এই তথ্য জানার পর বিউটি আক্তারকে মানসিক অত্যাচার করতেন তারিকুল। তাঁর মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বিউটি আত্মহত্যা করেছেন। তারিকুলের কাছ থেকে পুলিশের ভুয়া আইডি কার্ড ও তাঁর মুঠোফোন জব্দ করেছে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ কনস্টেবল না হয়েও নিজেকে পুলিশ কনস্টেবল পরিচয় দিয়েছেন তারিকুল। প্রতারণা করে বিউটি আক্তারকে বিয়ে করার পর নানাভাবে মানসিক নির্যাতন চালিয়েছেন। তারিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুরো ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটন করা হবে।