টেকনাফে মাদক মামলার আসামি 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মফিদ আলম (৩৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে হোয়াইক্যং নয়াপাড়া বালিকা মাদ্রাসাসংলগ্ন নাফ নদীর তীরে এ ঘটনা ঘটে।

প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস।

পুলিশের দাবি, মফিদ একজন তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। তিনি টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং নয়াপাড়ার বাসিন্দা। তিনি মাদক ও অস্ত্র মামলার পলাতক আসামি। তাঁর বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় ৪টি মাদক ও ২টি অস্ত্র মামলাসহ ছয়টি মামলা আছে। ঘটনাস্থল থেকে ২টি দেশীয় তৈরি অস্ত্র (এলজি), ১০টি শটগানের তাজা গুলি ও ৫ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

পুলিশের ভাষ্য, গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াপাড়া বাজার থেকে পুলিশের একটি টহল দল মফিদ আলমকে আটক করে। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকারোক্তি দেন যে ইয়াবার একটি বড় চালান নয়াপাড়া বালিকা মাদ্রাসাসংলগ্ন নাফ নদীর তীরে মজুত করা হয়েছে। সেই সূত্র ধরে তাঁকে নিয়ে একদল পুলিশ সদস্য অভিযানে যায়। প্রথমে তাঁর সহযোগী মাদক কারবারিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে পুলিশের তিন সদস্য সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ওহিদ উল্লাহ, কনস্টেবল মনির হোসেন ও রুবেল মিয়া আহত হন। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। পুলিশ ৩৮টি গুলি চালায়। এ সময় পালাতে গিয়ে উভয় পক্ষের মাঝখানে পড়ে মফিদ গুলিবিদ্ধ হন। পরে কয়েকজন সংঘবদ্ধ মাদক পাচারকারী সুকৌশলে পিছু হেঁটে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজন মাদক কারবারি ও পুলিশের তিন সদস্যকে উদ্ধার করা হয়। গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারিকে প্রথমে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসক শংকর চন্দ্র দেবনাথ প্রথম আলোকে বলেন, রাতে পুলিশ চারজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। মফিদ আলম নামের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তিন পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে মফিদের বুক ও পিঠে তিনটি গুলির চিহ্ন দেখা গেছে।

ওসি বলেন, কক্সবাজার নেওয়ার পথে মফিদ মারা যান। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গের রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

গত বছরের ৪ মে থেকে দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হয়। এ নিয়ে র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কক্সবাজার জেলায় ১২৯ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন নারীসহ ২৬ জন রোহিঙ্গা আছেন।