মিন্নির গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যার ঘটনায় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, রিফাত হত্যায় স্ত্রী মিন্নি জড়িত। ‘বরগুনার সর্বস্তরের জনগণ’–এর ব্যানারে আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে এ মানববন্ধন করা হয়। এতে অংশ নেন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ।

এর আগে গতকাল শনিবার রাত আটটার দিকে রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মিন্নির গ্রেপ্তার দাবি করেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে আজ মানববন্ধন করার ঘোষণা ছিল না। গতকাল গভীর রাতে ফেসবুকে এক ব্যক্তি মানববন্ধনের কথা জানিয়ে পোস্ট দেন।

মানববন্ধনে মিন্নিকে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি করেন বক্তারা। তাঁরা এই হত্যাকাণ্ডে মিন্নি জড়িত বলে অভিযোগ আনেন।

আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির গ্রেপ্তার দাবিতে বরগুনা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন। ছবি: এম জসীম উদ্দীন
আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির গ্রেপ্তার দাবিতে বরগুনা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন। ছবি: এম জসীম উদ্দীন

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নিহত রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম শরীফ, চাচা আবদুল আজিজ শরীফ, আবদুস সালাম শরীফ, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ও বরগুনা সদর আসনের সাংসদের ছেলে সুনাম দেবনাথ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা মারুফ মৃধা প্রমুখ।

এর আগে গতকাল রাতে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ অভিযোগ করেন, এই হত্যাকাণ্ডে রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি জড়িত। মিন্নি প্রতিদিন একাই কলেজে যেতেন। ঘটনার দিনও একা গেছেন। পরে তিনি ফোন করে রিফাতকে কলেজে ডেকে নেন।

আবদুল হালিম অভিযোগ করেন, মিন্নি ও তাঁর পরিবার এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি পুলিশের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত নয়ন বন্ডের সঙ্গে মিন্নির আগের বিয়ের কথা গোপন করে এবং নয়ন বন্ডকে তালাক না দিয়েই তাঁর ছেলেকে (রিফাত শরীফ) বিয়ে করেন। আর বিয়ের পরও মিন্নি নয়নের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। এমনকি নিয়মিত নয়নদের বাসায় যেতেন।

গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। বেলা তিনটার দিকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফাতের মৃত্যু হয়। পরদিন এই ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২ জনের নামে এবং চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন।