আবর্জনায় ভরে যাচ্ছে মানিকগঞ্জ ডাকবাংলোর পুকুর

পুকুরের পানি ময়লা-আবর্জনা ও প্লাস্টিকসামগ্রীতে ভরে গেছে। সম্প্রতি তোলা ছবি।  প্রথম আলো
পুকুরের পানি ময়লা-আবর্জনা ও প্লাস্টিকসামগ্রীতে ভরে গেছে। সম্প্রতি তোলা ছবি। প্রথম আলো

মানিকগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর পুকুরটি ময়লা-আবর্জনা ও প্লাস্টিকসামগ্রীতে ভরে গেছে। এতে শুধু সৌন্দর্যহানিই নয়, দিন দিন পুকুরের আয়তনও কমে যাচ্ছে।

পুকুরটির পশ্চিমে জেলা পরিষদের ডাকবাংলো, দক্ষিণে জেলার প্রধান ডাকঘর ও শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামের প্রবেশপথ, পূর্বে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উত্তরে জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা প্রশাসকের বাসভবন। এমন গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকার পরও পুকুরটি ময়লা-আবর্জনা এবং পলিথিন আর প্লাস্টিকসামগ্রীতে ভরা। নেই সংস্কারের কোনো উদ্যোগ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পুকুরের চারপাশ আবর্জনায় ভরে গেছে। বিশেষ করে পুকুরের পূর্ব ও দক্ষিণ পাশে পলিথিনসহ আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। পুকুরের মাঝে পানিতে ভাসছে অসংখ্য প্লাস্টিকের বোতল ও আবর্জনা। পুকুরের পানি দূষিত হয়ে পড়েছে। এসব ময়লা-আবর্জনা থেকে মশা-মাছির জন্ম হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাত-আট বছর আগেও শহরের বাসিন্দারা এই পুকুরে সাঁতার কাটত। কেউ কেউ এই পুকুরের পানি দিয়ে গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার করতেন। পরবর্তী সময়ে মাছ চাষের জন্য ইজারা দেওয়ার পর পুকুরটিতে সাঁতার কাটা বন্ধ করে দেন স্থানীয় লোকজন। স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই পুকুরটির অপার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছি। এর স্বচ্ছ জলে সাঁতরে শাপলা, পদ্ম তুলেছি। এখন পুকুরটি ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে। এর পানি এখন গন্ধ আর কীটপতঙ্গে ভরা।’

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলা কমিটির সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস বলেন, শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত পুকুরটির চারপাশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয় এবং বাসভবন রয়েছে। এটি সংস্কার করে চারপাশে ফুলগাছ লাগানো এবং বসার বেঞ্চ করা হলে শহরবাসী উপকৃত হবে। অথচ এটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মহীউদ্দিন বলেন, মানুষ ময়লা-আবর্জনা নির্ধারিত স্থানে না ফেলে যত্রতত্র ফেলে থাকেন। কেউ কেউ পুকুরে ফেলেন। এই ক্ষেত্রে জনগণকে সবার আগে সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, পুকুরের চারপাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া পুকুরটি পরিষ্কার করে মাঝখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুরাল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।